Top

ত্রিভূজ প্রেমের বলি আলমের মৃত্যুর সাড়ে ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন

০৫ আগস্ট, ২০২১ ৫:২৬ অপরাহ্ণ
ত্রিভূজ প্রেমের বলি আলমের মৃত্যুর সাড়ে ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) হত্যাকান্ডের রহস্য দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ। সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে।

এ হত্যাকান্ডের মূল আসামি জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে বুধবার বিকেলে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছোন ক্ষেতের ভিতর থেকে ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি দোকান কর্মচারী শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে। ওইদিন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ শিরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্তের পর ক্লু-লেস এ মামলাটি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সিআইডি পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মামলার সব রহস্য উন্মোচিত হয়। বুধবার জুলহাস ওরফে জুলু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে জুলহাস ওরফে জুলুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বওড়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্তা নারী কাকলির সঙ্গে শাহ আলম ও জুলহাসসহ তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিষয়টি শাহ আলম জানার পর প্রেমিকাকে গালিগালাজ করে ও অন্য দুই প্রেমিককে তার কাছে আসতে নিষেধ করে দিতে বলা হয়। এতে জুলহাস এবং অন্য প্রেমিক ও কাকলি ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শাহ আলম কাকলির সঙ্গে দেখা করতে এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে কাকলি ও তার দুই প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে দুর্গম যমুনার চরের ছোনের ভেতরে ফেলে দেয়। জুলুর এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ফলে দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে।

শেয়ার