Top
সর্বশেষ
বিএসইসির সঙ্গে একত্রে কাজ করবে বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের এসইসি পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক পতন তদন্তে বিএসইসির কমিটি পুঁজিবাজারের স্বার্থে নীতি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস এনবিআরের ২৬ দিনে এসেছে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার জাতি গঠনে তৈরি হওয়া সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা গ্রেপ্তার ১০ সাবেক মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত এশিয়ার দেশগুলোয় কমেছে চালের রফতানি মূল্য ইরানে হামলা চালায় ১৪০ ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

টাঙ্গাইলে ৫ দিনের মধ্যে সূত্রহীন মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই

২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ৬:১৭ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইলে ৫ দিনের মধ্যে সূত্রহীন মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই
হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় পাঁচদিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকান্ডের শিকার নাজমা বেগম (৩১) ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার দেবীর চর এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারীর স্বামী ওয়াসিম হককে (৪০) গ্রেফতার করেছে পিবিআই। ওয়াসিম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া গ্রামের ইছা হক মিয়ার ছেলে। বুধবার বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ বলেন, জেলার মির্জাপুর উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা এই হত্যা মামলাটির ছায়া তদন্ত করে। প্রথমে এ হত্যার কোন সূত্র আমাদের কাছে ছিলো না। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় হত্যাকারী হলো নিহতের দ্বিতীয় স্বামী ওয়াসীম। গত মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর ওয়াসিম পুলিশকে জানায়, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। নাজমা ওই ইট ভাটায় বাবুর্চির কাজ করতো। ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সাথে ওয়াসিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে ইট ভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তখন ওয়াসিম নিজ এলাকা দিনাজপুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একথা শুনে নাজমা ওয়াসিমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলে। পরে নাজমার ভাড়া করা বসায় নিয়ে যায়। সেখানে নাজমা ও তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসিমের সাথে নাজমার বিয়ে পড়ায় এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর ইট ভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসিমের সাথে দেখা করতে আসে। পরে সেখানে দুই জনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে নাজমা তাকে দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ও ডিভোর্স চায়।

ওয়াসীম টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে মামলা করার ভয় দেখায়। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে আরো ঝগড়া হয়। পরে ইট ভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা উড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ছাড়াও লাশ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

শেয়ার