Top
সর্বশেষ

ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলার পরিমাণ বেড়েছে

০৭ জানুয়ারি, ২০২২ ৪:২৫ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলার পরিমাণ বেড়েছে
মো. আব্দুল লতিফ, ঠাকুরগাঁও :

ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বেশ কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও কুয়াশার কারণে বীজতলায় ঠাণ্ডা পানি জমছে। এই ঠাণ্ডা পানির জন্য চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, চারা বেড়ে উঠছেনা। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতে যাতে বীজতলায় কুয়াশা না পড়ে সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। কৃষি বিভাগও রাতে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপ বেড়েছে, সেই সাথে নেমে এসেছে ঘন কুয়াশা । তাই জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের আশংকা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ইতিমধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা, ভাসমান তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে স্থান নির্বাচন, জমি প্রস্তুত, শেডের ব্যবস্থা করা, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের। এছাড়াও শুকনো বীজ একটানা কত ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোন জাতীয় স্থানে রাখতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ভাল চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রুন গজানোর বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার তেমন একটা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তিনি জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মত বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামের কৃষক হরেন জানান, প্রত্যেক বছর কমপক্ষে আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করি। এ বছরও তিনি বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু ঠাণ্ডায় চারা মারা যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি। তিনি বলেন, ঠাণ্ডা আরো বাড়লে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ২ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৯ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন। গত বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন।

শেয়ার