সাতক্ষীরা সদরে লাশ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যে আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। ২০০ টাকার জন্য খুন করেছি বলে ঘাতক বন্ধু স্বীকারোক্তি দিয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।
ঘাতক সাগর হোসেন (১৪) সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, ঘাতক সাগর হোসেনকে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে লাশ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরতলীর লাবসা বাইপাসের কাছে একটি গ্যারেজ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধাঁরালো ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
তার দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৩ টায় সে তার বন্ধু সালাউদ্দিন কে হত্যা করে। জবানবন্দির সূত্র ধরে তিনি আরও বলেন, সাগর হোসেন সালাউদ্দিনের কাছে গাঁজা কেনার জন্য ২০০ টাকা দিয়েছিল । কিন্তু সালাউদ্দিন গাঁজা কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত না দেওয়ায় সে তাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুর মালীপাড়া এলাকা থেকে এক কিশোরের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোর ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিন হোসেন (১৫) শহরতলীর কাশেমপুর মালীপাড়া শাহজাহান আলী ওরফে বাবুর ছেলে।
হত্যাকারী কিশোর সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকার সাগর হোসেন তার বাবা শহিদুল ইসলামকে গিয়ে এ খবর জানায় এবং নিহত বন্ধু সালাউদ্দিনের লাশ ঘরেই রয়েছে বলে তথ্য দেয়।
সালাউদ্দিনের বাবা শাহজাহান আলী বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সাগর হোসেন তার বন্ধু ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিন আহমেদের(১৫) ঘরে ঢোকে। কোন এক সময় সে তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে সাগর হোসেন তার বাবা শহিদুল ইসলামকে এ খবর জানায়। নিহত সালাউদ্দিন বাড়ির একটি কক্ষে একাই থাকতো।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সালাউদ্দিন ও তার ঘাতক বন্ধু সাগর হোসেন দুজনেই ছিল মাদকাসক্ত। তারা মাদক কারবারের সাথেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।