চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্টজনিত গুরুতর জটিল রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩টি আইসিইউ বেড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ১০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ৫টি ন্যাজাল কেনোলা ও ৫শ’ টি পিপিই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর একান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এই বরাদ্দ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউসে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এক সভায় জেলা প্রশাসক এ সংবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুরবাসীর জন্য সুসংবাদ হলো যে, অনেক লেখালেখি ও যোগাযোগের পর আজ চাঁদপুরের জন্য ৩টি আইসিইউ বেড, ১০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ৫টি ন্যাজাল কেনোলা ও ৫শ’ টি পিপিই বরাদ্দ পেয়েছি। ঢাকা থেকে এই চিকিৎসা সামগ্রীগুলো আনতে আজকেই আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে জানালাম, তিনি অনেক খুশি হয়েছেন এবং আমাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা চাঁদপুরের জন্য আমাদের সকল কাজগুলো সহজ করে দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারি দুলাল, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ।সেলিম, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, গোপাল চন্দ্র সাহার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা প্রমুখ।
উল্লেখ, চাঁদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ ও আড়াইশ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও কোনো আইসিইউ বেড ছিলো না। যার ফলে করোনায় আক্রান্ত এবং যে কোনো শ্বাসকষ্টজনিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার করা হতো। এতে করে বিনা চিকিসৎসায় অসংখ্য রোগীর পথেই মৃত্যু হয়েছে।