Top

চট্টগ্রামে ডাল-চিনিতে মিলছে না স্বস্তি, ভোজ্য তেলে অস্থির বাজার

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:১৬ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে ডাল-চিনিতে মিলছে না স্বস্তি, ভোজ্য তেলে অস্থির বাজার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

দীর্ঘ একমাসেরও বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণে আসছে না চিনির দাম। তার উপর ভোজ্যতেলেও নেই কোন স্বস্তির খবর। লিটারে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত। বাড়তি দাম থাকায় ভরা সৌসুমেও ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি ও রিয়াজউদ্দীন বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি গত সপ্তাহে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা আজ ৭৭ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্য তেলেও নেই সুখবর। পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েই চলেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার পাম তেল ১২০ টাকা, পাম সুপার তেল ১২২ টাকা, খোলা তেল ১৩০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত তেল কোম্পানিভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা ও পাঁচ লিটার বোতলজাত তেল কোম্পানিভেদে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, পাইকারি বাজারেও মণ প্রতি ১শ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে তেলের দাম। বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতিমণ পাম তেল ৪ হাজার ৪৮০ টাকা, পাম সুপার তেল ৪ হাজার ৫৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ৪ হাজার ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়েছে।

তাছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ১০৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ময়দা ৪৫ টাকা কেজি, আদা মানভেদে ৮০ থেকে ১শ টাকা, হলুদ মানভেদে ১৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সব ধরণের সবজির দাম অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পটল ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা। ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়স। ২০ থেকে ২৫ টাকায় আলু। আর ২৫ থেকে ৩০ টাকায় পেঁপে। শসার দাম ঠেকেছে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা। কচুর গাট বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজে ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে ইলিশের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। বড় আকারের ইলিশ ১২শ থেকে ১৩শ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৭শ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, রুই-কাতলা আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩শ’ টাকা, মৃগেল ২২০ টাকা, পাবদা আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬শ টাকা, পাঙাশ ১৩০ থেতে দেড়শ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে সাড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে মাংসের বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে দামের পার্থক্য হয়নি। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, সোনালী ২শ’ থেকে ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬শ টাকা ও খাসির মাংস ৮শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার