Top

জয়পুরহাটে বাসা বেঁধেছে বিরল প্রজাতির শামুক খোল পাখি

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটে বাসা বেঁধেছে বিরল প্রজাতির শামুক খোল পাখি
জয়পুরহাট প্রতিনিধি :

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার নিভৃত পল্লী কানাইপুকুর গ্রামে বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের বাড়ির পুকুর পাড়ের চারপাশের গাছে বাসা বেঁধেছে বিরল প্রজাতির প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক শামুক খোল পাখি। গ্রামবাসীো গভীর মমত্ব দিয়ে আগলে রেখেছে পাখিদের। নিরাপদ আশ্রয়, আর মানুষের ভালবাসায় এই গ্রামে পাখির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জেলার মধ্যে ওই গ্রামটি এখন পাখির গ্রাম বলে পরিচিতি লাভ করেছে।

কানাইপুকুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন, আমাদের এখানকার গাছে গাছে বাসা বেঁধেছে হাজার হাজার শামুক খোল পাখি। পুকুরপাড়ের বড় বড় গাছে বাসা বেঁধে প্রায় দেড় যুগ ধরে বাস করছে এসব পাখি। শামুক খোল পাখি এলাকার মানুষের কাছে শামুক ভাঙ্গা, হাইতোলা মুখ- এসব নামেও পরিচিত। খাল-বিলের ছোট ছোট শামুক-ঝিনুক, ছোট মাছ, আর ফসলের মাঠের পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন বাঁচায় শামুক খোল পাখি। আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ে প্রজননও করছে পাখিগুলো। ফলে, দিন দিন বাড়ছে পাখির সংখ্যা। আমরা গোটা গ্রামের মানুষ নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রেখেছি এসব পাখিদের।

জয়পুরহাট থেকে দেখতে আসা দর্শনার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলো দেখে আমার ভালো লেগেছে, বিশেষ করে এই মানুষদেরকে অভিনন্দন যে, তারা সকলেই মিলে এসব পাখিদের আগলে রেখেছে, তারা কখনোই পাখিদের সাথে খারাপ আচরণ করেন না, অন্যদিকে কেউ পাখি শিকার করতে এলে তারা বাধা দেয় এটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

সবুজ আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার সমন্বয়কারী তাহরিম আল হাসান রাশেদ বলেন, পাখিরা পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা করে, এগুলো আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, আর তার জন্যই পাখি-কলোনীগুলোর সংরক্ষন করা দরকার বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রাণী সৎম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীদের সম্পৃক্ত করে পাখিদের অবৈধ শিকার বন্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে পাখিদের সব ধরনের রোগ বালাইসহ পাখিদের কিছু হলেই তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

এলাকার অনেকের কাছে কানাইপুর-পাখিগ্রাম, কেউ বলেন পাখি কলোনি। যে নামেই ডাকা হোক, অনেকেই কানাইপুর ছুটে আসেন পাখি দেখতে। আর সেই পাখি দেখতে প্রতিনিয়তই ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা দর্শনাথীরা। গ্রামবাসীর পাশাপাশি কানাইপুকুর গ্রামে পাখির অভয়ারণ্য গড়তে আরো বেশি আন্তরিক হবে প্রশাসন, এমনটাই আশা এলাকাবাসীর।

শেয়ার