Top

কুষ্টিয়ায় অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে শিশুসহ ১০ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৮:১০ অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়ায় অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে শিশুসহ ১০ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে শিশুসহ অন্তত ১০জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসিরা জানান, দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক সপ্তাহ আগে রহিম হোসেনের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে স্থানীয়দের মাঝে মাংস বিক্রয় করা হয়। ওই গরুর মাংস খাওয়ার পর গ্রামের ফকির মন্ডলের ছেলে সজিব (২৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে নমাজ (২৮), নয়ন আলীর ছেলে রমজান আলী (৪৮) মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুজিনা খাতুন (৪০), মৃত শাহ মোহাম্মদের ছেলে বাবুল হোসেন (৬৭) ও ডাবলুর শিশু ছেলে সাব্বির (১৩) সহ অনন্ত ১০জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। আক্রান্তরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গেলে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ বলে সনাক্ত করেন। পরে তারা স্থানীয় চিকিৎসকদের দেওয়া চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই রয়েছেন বলে আক্রান্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। আক্রান্তরা সুস্থ্য থাকায় চিকিৎসা নিতে কেউকে হাসপাতালে যেতে হয়নি। তবে অসুস্থ্য ওই গরুর মাংস গ্রামের অনেকে খাওয়ায় গ্রামের মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সজিব বলেন, অসুস্থ্য গরুর মাংস খাওয়ার দু’একদিন পর তার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকার মত ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। গ্রামের অনেকে ওই গরুর মাংস কিনেছিলেন।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. আব্দুল মালেক জানান, উপজেলার গ্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। রোগটি অ্যানথ্রাক্স কিনা তা নিশ্চিত করা না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাবটেষ্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য গবাদিপশুর মাঝে যেন রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ওই এলাকার পশুগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর পাইনি। হাসপাতলেও কোন রোগের চিকিৎসা নিতে আসেননি।

শেয়ার