Top
সর্বশেষ

ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠছে নতুন আলু

০৮ জানুয়ারি, ২০২২ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠছে নতুন আলু
মো. আব্দুল লতিফ, ঠাকুরগাঁও :

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন আলু। আলুর বাজারদর ভাল হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। তবে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু উঠলেও দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এ আলুগুলো কৃষকেরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগেই লাগিয়েছিলেন। এছাড়াও কিছু আলু আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। আর কিছু আলু লাগানো হচ্ছে এখন। এ তিন প্রকার আলু নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত কৃষক।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আর যেগুলো কিছুদিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে উঠানো হবে সেগুলোর ফলনও আশাতীত হতে পারে। এছাড়াও বীজের জন্য দেরিতে লাগানো আলুরও ফলন ভাল হতে পারে। তবে নতুন আলু বাজারে উঠলেও দাম একটু বেশি। কার্ডিনাল জাতের আলু কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গ্যানোলা জাতের আলু কেজি প্রতি ১৮-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আলু প্রতি কেজি (পুরাতন ও নতুন) ৩০-৪০ টাকা । এছাড়াও এন্টারিজ, গ্যানোলা, ডায়মন্ড, শাগিতা, ভোজাগোল্ড জাতের আলুও আবাদ করা হচ্ছে। অপরদিকে বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির বীজআলু বিক্রি হলেও কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে বীজআলুর জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন। আর সেখানে ভাল বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছর জেলায় আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো আলু আবাদ শেষ হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। গত বছরে আবাদ হয়েছিল ২৭ হাজার ৬০২ হেক্টর । আর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৯২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বোচাপুকুর পোকাতি গ্রামের কৃষক সাইফুর রহমান জানান, তিনি ৩ একর জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু লাগিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক জমি থেকে আলু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। তিনি বস্তাপ্রতি (৮০ কেজি) বিক্রি করেছেন প্রায় আড়াই হাজার টাকা। তার মতে গত বছর আলুর ফলন ভাল হওয়ায় এবং দাম চাহিদামত পাওয়ায় এ বছর তিনি আলু লাগিয়েছেন। এ বছরও দাম আশনিুরূপ পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, জেলায় এ মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি পরিমানে জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন আশাতীত হবে এবং কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

শেয়ার