বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জান্নাতুল মাওয়া ২নং ওয়ার্ড পূর্ব নরসিংহপুর গ্রামের সিরাজ ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২বছর আগে কুদ্দুসের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কোম্পানীগঞ্জের সাজেদা আক্তারের। নূর হোসেন জিহাদ (১০) ও জান্নাতুল মাওয়ার (৬) বাবা কুদ্দুস গত ১০দিন আগে ওমান থেকে দেশে আসেন। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে জিহাদকে মারধর করে তার বাবা কুদ্দুস। এ নিয়ে সাজেদার সাথে বাকবির্তক হয় কুদ্দুসের। এ ঘটনার জের ধরে রাতে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়।
গোলাম কুদ্দুসের ভাই গোলাম সারোয়ার বলেন, রাতে ঝগড়া-বিবাধের জেরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পরিবারের লোকজনের অজান্তে নিজে ও মেয়ে মাওয়াকে কিটনাশক খাওয়ায় সাজেদা। পরে ঘরে থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তারা দুইজন বিষ খাওয়ার সময় ছেলে জিহাদকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু জিহাদ খায়নি। মমুর্ষ অবস্থায় সাজেদাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনায় অভিযোগ ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।