Top

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং

২১ এপ্রিল, ২০২২ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, জেলা প্রশাসনের  বাজার মনিটরিং
বাদল সাহা,গোপালগঞ্জ :

ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন ব্যবস্তা বাড়ছে গোপালগঞ্জের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। ইতিমধ্যে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। পরিবার-পরিজনদের জন্য পোশাক কিনতে বাজারে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ক্রেতারা।

বাজারে নানা ডিজাইনের পোষাক থাকলেও গরমের আচটা একটু বেশী হওয়ায় দেশী ও সুতি কাপড়ের পোষাকই দখল করে নিয়েছে ঈদের বাজার। বিগত দুই বছর করোনার কারনে কেনা-বেচা তেমন একটা না হওযায় যে লোকসান হয়েছে এ বছর তা পুষিয়ে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা এমনটি আশা করছেন তারা।

এদিকে বিক্রেতারা যাতে ক্রেতাদের ঠকিয়ে বাড়তি দাম না নিতে পারে সেজন্য প্রতিয়িনত বাজার মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসন।

জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে নতুন পোশাক দিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপনী বিতানগুলোতে ছুটছে সব শ্রেনী পেশার মানুষ। দ্রব্যমূল্যের উর্র্দ্ধগতির কারনে আয়ের সাথে মিল রেখে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। করোনার কারনে গত দুই বছর ঈদের বাজার না জমলেও এবারের ঈদে নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে বাজারে।

দোকানগুলোতে রাখা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের নানা রঙের পোশাক। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তৈরী পোশাকের বিপনী বিতানে রকমারী পোশাক শোভা পাচ্ছে। এসব পোশাকের পাশাপাশি নিত্যনতুন জুতা-স্যান্ডেলের প্রতি চাহিদা রয়েছে ছেলে-মেয়ে উভয়ের। গরম আর দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয় হওয়ায় ক্রেতাদের প্রথম পছন্দই দেশী সুতি থ্রি পিস, জামদানি, টাঙ্গাইল ও সুতি জামদানী শাড়ির।

এবারের ঈদে বিক্রেতারা নতুন ডিজাইনের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম ইচ্ছামত বাড়াচ্ছে বলে অনেক ক্রেতার অভিযোগ। বাড়তি দামের কারনে ছেলে- মেয়েদের চাহিদা পূরণ করতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ম-বৃত্ত পরিবারগুলো হিমশিম খেতে হচ্ছে। পোষাকের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে বেল্ট, নানা রঙের জুতা-সেন্ডেল, জুয়েলারি এবং কসমেটিকসের কিনছেন।

শহরের থান কাপড় ও গামেন্টেসের দোকান গুলোতে লেগে রয়েছে উপচেপড়া ভীড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে শুনে কিনছেন পোশাক। ফলে দর্জিপাড়ায় যেন ফুসরত নেই কারিগরদের। দিন-রাত পোশাক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যে কোন ভাবেই ঈদের আগে পোশাক তৈরী করে ডেলিভারী করতে হবে তাদের।

এদিকে বিক্রেতারা যাতে ক্রেতাদের ঠকিয়ে বাড়তি দাম না নিতে পারে সেজন্য প্রতিয়িনত বাজার মনিটরিং করার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মোকামের দামের সাথে সঙ্গতি রেখে ক্রেতাদের কাছে থেকে যাতে বাড়তি দাম না নেয় জন্য জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ঈদে নতুন পোষাক কিনতে আসা ক্রেতা শারমীন আক্তার ও আফসানা আক্তার বলেন, করোনার কারনে গত দুই বছর পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে পারিনি। তবে এ বছর করোনার প্রকোপ কম থাকায় এবছর পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পোষাকের দাম একটু বেশী। আমাদের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দর দামাদামি করে পোষাক কিনতে হচ্ছে।

বস্ত্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শাহদাত হোসেন ও মাকালী গার্মেন্টেস এর মালিক নিখিল চন্দ্র সাহা জানান, করোনার কারনে গত দুই বছর বেচাকেনা করতে পারিনি। তবে এবছর গরম পড়ায় সুতি পোশাকের কদর রয়েছে। অন্যান্যবারের তুলনায় বিক্রিও বেশি হচ্ছে। ডিজাইনের কারনে মোকামে এ বছর পন্যের দাম একটু বেশী। তাই বেশী দামে কেনায় বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে শুনে কম দামে পন্য কিনচ্ছেন। ক্রেতারা যেভাবে বাজারে আসছেন এভাবে বাকী দিনগুলিতে আসলে বিগত দিনের ক্ষতি ব্যবসায়ীরা তুলে নিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

শেয়ার