বান্দরবান ও লোহাগাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী মো. শফিক প্রকাশ শহিতুল্লাহকে গনধোলায় দিয়ে এলাকাবাসী আটক করেছে। এসময় তার কাছ থেকে ষ্টিল ছুড়ি, মুখোশ, আলগা চুল, গ্যাসলাইট সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রাসেল (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে আহত হন। আহত মো. রাসেল,সে সুয়ালক ইউনিয়নে হলুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ৫ নং টংকাবতী ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের চান্দের পাড়া এলাকায় এ-ই ঘটনাটি ঘটে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

স্থানীয়রা জানান, শফিক নামে কুখ্যাত সন্ত্রাসী প্রায় সময় তিন ৪ জনকে নিয়ে রাস্তার কিংবা বাগানে পেলে যাকে তাকে ধারলো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ-ই ঘটনায় প্রায় ৩ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

আহতরা হলেন, ভান্ডারী, সেলিম বৈদ্য, খায়ার মেম্বার। তবে তারা কোন এলাকায় বাসিন্দা সেটি জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা গাড়ি বহন করে দক্ষিন হাঙ্গর বাগান দিকে যাচ্ছিলাম। এ-র আগে আমাদের কল বলে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। বাগানে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে আমাদেরকে নামতে বলে। ভয়ে আমরা না নেমে এলাকাবাসীকে খবর দি।

জানা যায়, সন্ত্রাসী শফিক ওরফে শহিতুল্লাহ বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের লালগেট গ্রামে বাসিন্দা। বহুদিন যাবত ধরে সেলিম বৈদ্য সাথে জায়গায় নিয়ে বিরোধ চলছিল। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে টংকাবতী চান্দা পাড়া এলাকায় বসবাসরত ৩ পরিবারকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এলাকায় ছাড়া করে দেন। শুধু তাই নয় তার সন্ত্রাসীর কর্যক্রম হতে রক্ষা পায়নি টংকাবতী ইউনিয়নে পুলিশ ফাড়ি দ্বায়িত্বরত এস আই নিতাই দাশ ও।

টংকাবতী ইউনিয়নে পুলিশ ফাড়ি দ্বায়িত্বরত এস আই নিতাই দাশ বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমরা বেশ কয়েকবার তাকে ধরতে গেলে সেই পালিয়ে থাকে। পরে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে আমাদের পুলিশ ফাড়িতে আক্রমন করে। তার এ-ই আচরণে উর্ধতন কাছে রিপোর্ট দাখিল করলে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পাহার অপর পাহাড়ের পালিয়ে থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী তথ্যের মতে, শফিক ওরফে শহিতুল্লাহ নামে লোহাগাড়া সদর থানায় প্রায় ৪ টি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এঘটনায় ১৭ তারিখে বান্দরবান সদর থানায় ৬জনের নামে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজুর রহমান। তবে এ-ই ঘটনায় মামলাটি কে পরিচালনা করছেন সে ব্যপারে জানা যায়নি।

আহত রাসেল বলেন, আমরা হলুদিয়া গেটে ছিলাম। পরে রহিম চাচা ফোন দিলে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মাহফুজুর চাচা পেটে ছুড়ি দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। পরে আমরা গিয়ে ছাড়ানো চেষ্টা করলে আমাকে ছুড়ি দিয়ে গলা আঘাত করে। এসময় তাকে ধরে গনধোলাই দিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

টংকাবতী ইউপি চেয়ারম্যান মায়ং ম্রো জানান, এ-ই ঘটনায় ব্যপারে আমি অজ্ঞাত।

বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ কুদ্দুছ ফরাজী বলেন, আটককৃত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা রয়েছে সেটি লোহাগাড়া সদর থানায় বলে নিশ্চিত করেন।