সুনামগঞ্জে ক্রমেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উচুঁ এলাকার তলিয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে মৌসুমী সবজি। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাউবো সুত্রে জানা যায় জেলার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমায় অবস্থান করছে।

সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত সুরমা নদীর নবীনগর পয়েন্টে ৭.৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর মাত্র ১৬ সেন্টিমিটার পানি বাড়লেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। খবর নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহীম, সদরগড়, সৈয়দপুর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের বরকতনগর, শরীপপুর গোজাইড়া, মহব্বাতপুর মামদপুর, মারফতি গ্রামসহ অনন্ত ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

এছাড়াও জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও ঘড়বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পুরাতন পৈন্দায় বেশ কয়েকটি ঘরের কাছাকাছি পানি ছুই ছুই করছে। যে কোন মুহুর্তে ঢলের পানিতে ঘরগুলো তলিয়ে যেতে পারে। পাশেই ডাকুয়ার হাওরে কৃষকের ইরি ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই আধাকাচা পাকা ধান কাটতে পেরেছেন, অনেকেই পারেননি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কৃষি বিভাগ জানায় ঢলের পানিতে তাহিরপুর ও সদর উপজেলার উচ্চ এলাকার ২০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে। ঢলের পানি নেমে যাওয়ায় আশায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনোই বলা যাচ্ছে না। যদিও হাওর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে। সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা উজ্জল মিয়া জানান, ঢলের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানির কারনে চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক ঘরে পানি উঠেছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মুন্না মিয়া জানান, ঢলের পানি দোয়ারাবাজার উপজেলার কাংলা, নাইন্দা, গোজাউরা, সিংরাই হাওরের স্কীমের ধান তলিয়ে গেছে। পাহাড়ের সীমান্তবর্তী অন্তত ১০ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঢলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পুরোপুরি নিরুপন হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি। পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলা ১০ হেক্টর ও সদর উপজেলার ১০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।