চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকার একটি হোটেলে নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা আবুল মনছুর, কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদুল আলমসহ জামায়াত-শিবিরের ৪৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) রাত ১০টায় নগরীর টেরিবাজার এলাকার ‘আল বয়ান’ নামে একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, গোপন তথ্য পেয়েছিলাম জামায়ত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে টেরিবাজারের একটি হোটেলে বৈঠক করছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে ৪৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করি। এক পর্যায়ে থানায় এনে তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি মো. ফরিদুল আলম কোতোয়ালী থানা শাখা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির। আর মো. ফরিদ উদ্দিন কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখার প্রধান সমন্বয়কারী।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কোতোয়ালি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি’র দক্ষিণ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আবুল মনসুর জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা। তার বাড়ি পটিয়ায়। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজার এলাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আটক ৪৯ জনের মধ্যে ১০ জনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- কোতোয়ালী থানা শাখা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মো. ফরিদুল আলম (৪৭), কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. ফরিদ উদ্দিন (৪৪), বায়তুল মাল সম্পাদক মো. নুরুল কবির (৬৫), দপ্তর সম্পাদক এমদাদ উল্লাহ (৩৪), কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির রোকন, বক্সিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), অর্থ যোগানদাতা আবুল মনসুর (৫০), টেরিবাজার ইমাম ম্যানশন শাখার সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির (৫০), টেরিবাজার কাটাপাহাড় শাখার সভাপতি রাশেদুল করিম, সহ-সভাপতি হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম (৩৮), সহ সভাপতি, মোহাম্মদ ইসরাফিল (৫০)।