Top
সর্বশেষ
পুঁজিবাজারের অনিয়ম অনুসন্ধানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের দাবি আকুর বিল পরিশোধের পর কমেছে রিজার্ভ ‘আর মাত্র কিছুদিন! এরপর জনগণ আপনাদের নিশ্চিহ্ন করে দিবে’ গ্যাসের দাম ১৫২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব: শিল্প-বাণিজ্যে অশনিসংকেত দেখছেন ব্যবসায়ীরা ‘৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন’ রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটির তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা ২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশি অভিবাসী আটক রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে আবেদন, শুনানি ১৬ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে ৫ জনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন

২৮ মে, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি। মরিচ চাষে শুধু চাষিরাই লাভবান হননি, বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন সংশ্লিষ্ট দিনমজুরসহ ব্যবসায়ীরাও।

সদর উপজেলার ঢোলারহাট, শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ভাউলার হাট, দেবীগঞ্জ, আরাজী ঝাড়াগাঁও, ভেলাজান, রুহিয়া, বালিয়াডাঙ্গী, খোচাবাড়ী, রামনাথসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর বিস্তীর্ণ জমিতে হয়েছে মরিচের আবাদ। লাল-সবুজে সয়লাব মরিচের ক্ষেত। কেউ মরিচ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন, আবার কেউ বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছে এ এলাকার অনেক চাষি পরিবার। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা
নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

চলতি মৌসুমেও কৃষকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিঘাপ্রতি মরিচ ক্ষেত কিনে পাইকাররা বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৫ গুন লাভ করছেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের ভাউলার হাট ও বিভিন্ন হাট বাজারে এই মরিচ অনেক দামে বিক্রি হচ্ছে।

অনেক কৃষক কাঁচা মরিচ ক্ষেত থেকে তুলে তা রোদে শুকাচ্ছেন। পরে এই মরিচ কৃষক বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন মরিচ জাত ভেদে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার শীবগঞ্জ এলাকার মরিচচাষি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ বছর সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি মরিচ ক্ষেত ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

সদর উপজেলার রুহিয়া কুজিশহর এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এ বছর শুকনা মরিচ ৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও জিরা মরিচ (চিকন) ৮ হাজারের উপরে বিক্রি হচ্ছে। ছ্যাকা মরিচ ৭ হাজারের উপরে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর মরিচের অনেক ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে।

সদর উপজেলার আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ক্ষেত থেকে মরিচ এনে সরাসরি বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে মরিচ দূরের বাজারে নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ বেশি লাগতো। এখন বাড়ির পাশেই মরিচের একাধিক ছোট ছোট হাট বসে গেছে। সেখানে গিয়ে মরিচ ন্যায্য দামে বিক্রি করা যায় এবং আড়তে গিয়ে টোল দেওয়া এবং দর কষাকষির ঝামেলা থেকে রক্ষার জন্য বাড়ির পাশেই মরিচ বিক্রির কথা জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে উচ্চ মূল্য থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা প্রত্যেক কৃষককে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছি। বেশি করে মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এতে এবার ব্যাপক সাফল্য এসেছে।

শেয়ার