আমন ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় শ্রাবণ মাস। কিন্তু শ্রাবণ ও আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও মাগুরাজেলায় হয়নি ভরা মৌসুমের বৃষ্টি। অনাবৃষ্টিতে আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মাগুরা, শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলার আমন ধানচাষীরা। ভরা মৌসুমের বৃষ্টির আশায় কৃষক স্বপ্ন দেখে আমন ধান চাষের। কিন্তু প্রকৃতিনির্ভর হওয়ায় কৃষকের সেই স্বপ্ন বৃথা হতে যাচ্ছে। তীব্র খরার ফলে ফেটে যাচ্ছে ফসলের মাঠ। নষ্ট হচ্ছে আমনের চাষ।

জেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ধানচাষিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, লোডশেডিংয়ের ফলে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচ দিতে পারছি না। তেল ও সারের দাম বেশি থাকায় আমন ধান চাষ করে আমরা লাভবান হতে পারবো না। আমন ধান চাষে আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এবার আষাঢ়, শ্রাবণ ভাদ্র মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তবুও বৃষ্টির মুখ দেখতে পারছি না। প্রখর খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে জমি। বার বার সেচ দিয়ে দিশেহারা হতে হচ্ছে। লোডশোডিংয়ের ফলে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচ দিতে পারছি না। মেশিনের সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করবো; কিন্তু তেল দিয়ে চাষ করে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। ইউরিয়া সারের দাম আগে একহাজার টাকা বস্তা কিনতাম। কিন্তু বর্তমানে চৌদ্দশ টাকা বস্তা কিনতে হচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও ঠিকমতো সার কিনতে পারছি না। সবকিছুর দাম বাড়লেও কখনও নায্যমুল্য পায় না কৃষক।

আড়পাড়া গ্রামের আমন ধান চাষি সোহরাব মীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি। নেই বৃষ্টি। ফসলের মাঠ ফেটে যাচ্ছে। আমন ধানে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছি না। এই আমন ধানের চাষ আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে করি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমঙ্গীর হোসেন জানান, শালিখা উপজেলায় আমন ধান চাষে বেশির ভাগই কৃষক প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়। কিন্তু এবার প্রকৃতির আর্শীবাদ না থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সমস্যা সমাধান করতে ইঞ্জিনচালিত মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিতে হবে। এবছরে শালিখা উপজেলায় আমন ধানের চাষ হয়েছে মোট ১৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। আশা করি, এবার আমন ধানের ফলন ভালো হবে।