Top

কোটি টাকার মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা

২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ৪:০৬ অপরাহ্ণ
কোটি টাকার মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রায় ০৪ কোটি টাকা মূল্যের মুদ্রাগুলো অনেক মূল্যবান এবং উচ্চ বিকিরণ জাতীয় পদার্থ। বিশ্ববাজারে এর মূল্য অনেক বেশি। এসব নানান কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সহজ-সরল কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করা ছিল প্রথম কাজ। এরপর সাধারণ লোকজন তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের সর্বস্ব অর্থ তাদের কাছে দিতো। এভাবেই প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা হতে উধাও হয়ে যায়।

এমনই এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ০৪ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার মুক্তাসা হল রোড হতে তাদেরকে আটক করা হয়। একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প। মুক্তাসা হল রোডের কলোনী মসজিদের পাশে দেলুয়ার হোসেনের থাই এন্ড এ্যালুমিনিয়ামের দোকানের ভিতর হতে তাদেরকে আটক করে র‍্যাব। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের মূলহোতা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার নুনগোলা এলাকার জোহাক কালীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), গোমস্তাপুর উপজেলার সাহেবগ্রাম এলাকার মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে মো. এরফান আলী (৬৫), ডাকবাংলোপাড়া মহল্লার জোবদুল হকের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (৪০), নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৩)।

র‍্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে একটি ভুয়া মুদ্রার কয়েন, দুইটি কাটার, একটি কাঁচের গ্যাস উদ্বার করা হয়। প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অতি মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব আরও জানায়, প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের ০৪ সদস্যকে হাতেনাতে করে র‍্যাবের একটি চৌকস দল। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

শেয়ার