রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সমান ভোট পাওয়া দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর ফের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি ওই ওয়ার্ডে নতুন করে ভোট নেওয়া হবে। এতে শুধু সমান ভোট পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহাজাদা আরমান ও সাইফুল ইসলাম ফুলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ১৫ জানুয়ারি পুনরায় ভোটগ্রহণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সাহাতাব উদ্দিন জানান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় আগমী ১৫ জানুয়ারী এই ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। সেজন্য আমরা সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি বলে জানান তিনি।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে এম এ রাজ্জাক মন্ডল (লাটিম), মো. শাহাজাদা আরমান (ঠেলাগাড়ি) ও মো. সাইফুল ইসলাম ফুলু (ঘুড়ি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে নতুন করে ভোটগ্রহণে এম এ রাজ্জাক মন্ডলকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংক্ষুদ্ধ এই প্রার্থীও নতুন করে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মো. শাহাজাদা আরমান ও সাইফুল ইসলাম ফুলু দুজনেই ৩ হাজার ১৯৭ ভোট পান। সমান ভোট পাওয়ায় ওই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে আবারও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হবে।
এদিকে নির্বাচনের পর থেকেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহজাদা আরমানের বিরুদ্ধে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরেক প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ফুলু। অপরদিকে ফুলুর বিরুদ্ধে আরেক সাবেক কাউন্সিলর এম এ রাজ্জাক মন্ডলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ তুলেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে ওই ওয়ার্ডে পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।