জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এ বছর রেকর্ড সংখ্যক অতিথি পাখির উপস্থিতি দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। এই শীতে ক্যাম্পাসে পাখির সংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে প্রজাতির সংখ্যাও।

এ বছর ক্যাম্পাসে পাখির সংখ্যা ৭ হাজার যা বিগত দুই দশকের তুলনায় সর্বোচ্চ। প্রায় ১২ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। যা অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। নতুন কিছু জলাশয়েও অতিথি পাখি দেখা গেছে।

চলতি বছরের ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পাখি শুমারিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন একটা নেই। এ কারণে অতিথি পাখির আগমন গত দুই দশকের তুলনায় সর্বোচ্চ।

জানা যায়, ১৯৮৬ সাল থেকে ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। সে সময় ঠিক কী পরিমাণ পাখি আসত তার সুস্পষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে ২০০০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজারের বেশি পাখি পাওয়া যায়নি। গত মৌসুমেও সংখ্যাটি এমনই ছিল। কিন্তু এবার ক্যাম্পাসে সাত হাজারের মতো পাখি গণনা করা হয়েছে।

পাখির প্রজাতিগুলো হলো- নাকতাহাঁস, খুনতেহাঁস, জিরিয়াহাঁস, ভুতিহাঁস, লেঞ্জাহাঁস, আফ্রিকান কম্বডাক, ছোট সরালি, বড় সরালি, পাতারিহাঁস, গ্রেটার স্টর্ক, ফুলুরিহাঁস এবং ইউরেশিয় সিঁথিহাঁস।

পাখি বিশেষজ্ঞ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘মূলত এবার কোলাহল না থাকায় পাখি বেড়েছে। আমরা আগে একসঙ্গে এতো পাখি দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চারটি লেকের বাইরেও কিছু লেকে পাখি অবস্থান করেছে।’