সিরাজগঞ্জে দিগন্ত জোড়া মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদ ফুলে রঙিন মাঠ। এবার মাঠে মাঠে চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের সরিষা। এ সরিষার ফুলের মাঠে এখন সেলফি ও ছবি তোলার ধুম পড়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬৩ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে এ সরিষার চাষাবাদ করা হয়েছে। সোনার বাংলায় ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ বদলের সাথে পাল্লা দিয়ে ফসলের মাঠ বদলে সবুজ,সোনালী ও হলুদ বর্নে সাজে ফসলের মাঠ। এমনি ফসলের মাঠের রূপ বদলিয়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। শীতের সকালে এ ফুলের দৃশ্য নিয়ে অনেকে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে কবিতা আবৃত্ত করে আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ভাবে তাদের লিখনিতে তুলে ধরে থাকে।

এ হলুদ ফুলের মাঠে মাঠে তরুণ তরুণীরা কেউ কেউ ছবি তুলছে আবার কেউ কেউ সেলফি তুলছে। তরুণীরা কেউ কেউ তাদের চুলের খোঁপায় এ ফুল গেঁথে ছবি তোলার পাশাপাশি এ ফুল দিয়ে শপথ নিয়ে প্রেম বিনিময় ও করছে। এদিকে গত বছরে জেলায় ৫৪ হাজার ৬’শ ৫৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা সরিষা চাষ করে লাভবান হয়েছে। এ মৌসুমে সরিষা চাষে ঝুঁকেছে কৃষকরা। এ সরিষার মধ্যে টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯, বীনা-১৪ আবাদ হয়েছে বেশি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তবে এবার বেশি সরিষা চাষাবাদ হয়েছে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়াও ইউরিক এ্যাসিড মুক্ত ক্যলানীয়া জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে সরিষা চাষের প্রণোদনা হিসেবে জেলায় ৩৫ হাজার ২’শ জন কৃষককে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএসপি এবং ১ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামী ৩ বছরে ভোজ্য তেলের ৪০% বাড়াতে হবে।

এ জেলায় গত বছরের চাইতে ৮ হাজার ৮’শ ৪৫ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। এছাড়াও সরিষার ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরিষার জমিতে মৌ-বাক্স বসানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মৌচাষীরা এ মৌ-বাক্স বসিয়েছে। জেলায় এবার মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৩’শ মেঃ টন। ইতিমধ্যেই মধু উৎপাদন হয়েছে ৮২ মেঃ টন। এ মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।