জন্ম থেকেই নেই পায়ে হেঁটে চলার সক্ষমতা। অন্য আর দশটা সাধারণ মানুষের জীবনের মতো হতে পারতো একটি সাধারণ জীবন। তবে শারীরিক যে প্রতিবন্ধকতা তা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্মা গ্রামের রায়হানের ক্ষেত্রে।

তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস তাকে সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে সব সময়। তাইতো প্রতিবন্ধকতার কাছে হার না মেনে হাতে তুলে নিয়েছেন পাঁচ সদস্যর পরিবারের দায়িত্ব । সংসারে রয়েছে বৃদ্ধ মা দুই বোন। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছোট বেলায় হারায় বাবাকে। হয়েছেন বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত ।

এত কিছুর পরেও আজ বাজারে বাজারে ঘুরে ঘুরে ভ্রাম্যমাণ মুরগীর ব্যবসা করে বড় বোন কে অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করে বিয়ে দিয়েছেন। রায়হান জানান ভ্যান গাড়িতে গ্রামে ঘুরে বাড়ি বাড়ি থেকে কখনো বাজার থেকে হাস মুরগী কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন শত টাকা আয় হয়। স্থানীয় এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন রায়হানের কষ্ট দেখে তার বসার জন্য নতুন বাজারে আমার দোকানের সামনে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ বাজার ছাড়াও রাকসা বাজার, গেটের বাজারে ভ্রাম্যমাণ মুরগী বিক্রি করে থাকে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রায়হানের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুজি স্বল্পতার কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনা। অনেকে আমাকে ভিক্ষা করতে বললেও আমার লজ্জা লাগে তাই ছোট বেলায় মায়ের জমানো টাকা দিয়ে এ পেশায় আসি। সমাজের বৃত্তবানদের সহায়তায় আমার একটা স্থায়ী দোকান হলে ভালো হতো।