Top

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার দুই স্বামীর সংসার

১৩ মে, ২০২৩ ১:৫৪ অপরাহ্ণ
নড়াইলের লোহাগড়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার দুই স্বামীর সংসার
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাঞ্চনপুর কে এন পি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আরজু খানম ও ওই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা আরজু খানম লোহাগড়া পৌর এলাকার আদর্শ পাড়ার সেনা সদস্য মফিজুর রহমান ( রাসেল) এর স্ত্রী , তিনি লোহাগড়া উপজেলার কাঞ্চনপুর কেএনপি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। একই স্কুলে কর্মরত ছিলেন ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল ওয়াদুদ ও আরজু খানমের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক। ওই ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ির ঠিকানা যশোর জেলার মনিরামপুর থানার হেলান্সী গ্ৰামের আনসার আলীর ছেলে।

ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ ও শিক্ষিকা আরজু খানমের মধ্যে পরকিয়া সম্পর্কের কথা লোকজনের মাঝে জানা জানি হলে তাদের ২ জনের ছবি সহ ফেসবুকে প্রকাশ হয়। ক্রীড়া শিক্ষক ওয়াদুদ সু -কৌশলে কেএনপি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যায় যশোর জেলার চৌগাছায়। চৌগাছায় গিয়ে বাজে খান পুর মাদ্রাসায় ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে চাকুরী নেন এবং যশোর চৌগাছা বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে আরজু খানম কে নিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৯ মাষ বসবাস করেন।

ওখান থেকে তাদের পরকিয়া সম্পর্কের কথা লোকজনের মধ্যে জানা জানি হলে গত ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ওই ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ বাজে খান পুর মাদ্রাসা থেকে চাকুরী ও বাসা ছেড়ে চলে যান শার্শা থানাধীন রহিম পুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায়, ওখানে ও তিনি ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদের স্ত্রী সাবিরা খাতুন তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল ৫১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। সাবিরা খাতুনের ছোট ছোট ২ টি সন্তান ও রয়েছেন, সাবিরা খাতুন স্বামী কে ফিরে পেতে বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং মানুষের দারে দারে ঘুরছেন ।

সাবিরা খাতুন নিরুপায় হয়ে স্বামী ও আরজু খানমের বিরুদ্ধে কেএনপি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, তাতে ও কোন প্রকার ফলাফল না পেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন।

স্কুল শিক্ষিকা সাবিরা খাতুন বলেন, স্কুল শিক্ষিকা আরজু খানমের স্বামী একজন সেনা সদস্য, স্বামী থাকতে আমার স্বামী কে তার স্বামী পরিচয় দিয়ে যশোর চৌগাছায় ৯ মাষ বাসা নিয়ে থেকেছেন কেন? চরিত্র হীনা মহিলা আরজু খানম আমার স্বামী কে আমার কাছে থেকে কেড়ে নিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে আমার সংসার ভেঙ্গেছে। আমি ওই মহিলার বিচার দাবি করছি।

শেয়ার