নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকের মারপিটে গুরুতর আহত শিক্ষক সাইফুলকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল বলেন, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া অপ্সরা তার বান্ধবীর খাতা দেখে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি আমার নজরে আসে পরে অপ্সরাকে উঠিয়ে অন্যত্র বসতে দেই। এ ঘটনা জানাজানির পর অপ্সরার বাবা সুফিয়ান শেখ ও দাদা আয়ন উদ্দীন শেখসহ ৪ থেকে ৫জন বিদ্যালয়ে এসে হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে কিল-ঘুষি, লাথিসহ পেটানো শুরু করেন। আমি প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে আশ্রয় নিই। সেখানে গিয়েও আমি ছাড় পাইনাই সেখানেও আমাকে মেরে গুরুতর আহত করেন তারা।

অভিযুক্ত আয়ন উদ্দীন শেখ বলেন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার নাতি অপ্সরাকে মানসিক ভাবে হয়রানি করেছেন। শিক্ষকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তারা শিক্ষককে পেটানোর কথা অস্বীকার করেছেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা হচ্ছে। তবে ঘটনার দিন সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি ফুটেজ দেখাতে অনীহা করেছেন।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা শোনার পর আমি খোঁজখবর নিয়েছি। আমরা বিষয়টা দেখছি তবে ভুক্তভোগী শিক্ষককে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।