মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং আরো ৩ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩ জন বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় মহম্মদপুর উপজেলার কালিশংকরপুর ও যশোবন্তপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন জানান, একটি কাভার্ড ভ্যান উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর সুইসগেট এলাকায় এসে মাহাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে চাপা দিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়।

এরপর কালিশংকরপুর নতুন বাজার এলাকায় এসে কাবুল মোল্যা নামে আরেক ব্যক্তিকে চাপা দেয়। বরাবরই স্থানীয়রা গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এ খবর পেয়ে যশোবন্তপুর পশ্চিম পাড়া রাজু বিশ্বাসের বাড়ির সামনের সড়কে মিজানুর বিশ্বাস নামে এক যুবক কাভার্ড ভ্যানটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থনে তাকে পিষ্ট করে গাড়িটি। এ সময় ওই গ্রামের আকরাম মোল্যা নামে আরো এক ব্যক্তি আহত হয়।

পরে গাড়ীটি ঝামা বাজার এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ড্রাইভার সোহেল রানাসহ গাড়িটি আটক করে। স্থা্নীয়রা ড্রাইভার সোহেল রানাকে মারধর ও গাড়িটি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে ড্রাইভার ও গাড়িটি উদ্ধার করে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গুরুতর আহত মিজানুর বিশ্বাসকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। অপরদিকে গুরুতর আহত মাহাবুর রহমান লোহাগড়া এবং অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত মিজানুর যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন বিশ্বাসের ছেলে। আহত মাহাবুর কালিশংকরপুর গ্রামের মৃত আবু মোল্যার ছেলে এবং কাবুল ওই গ্রামের মৃত সোনাউল্লার ছেলে।

কাভার্ডভ্যানটি ড্রাইভার সোহেল রানা পার্শবর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ছাইমনারচর গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে।

মহম্মদপুর থানার ওসি জানান, ড্রাইভার ও কাভার্ড ভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।