কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা লাকসাম আঞ্চলিক মহাসড়কে একটু বৃষ্টি হলে চাঁনপুর এলাকায় পানি হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে যায়। ভোগান্তিকে স্থানীয় জনগণসহ গাড়ির চালকরা। মাঝে মধ্যে সিএনজি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক সহ হাঁটুসমান পানির কারনে এইসব গাড়িগুলো বিকল হয়ে যায়। রাস্তার মাঝে বিকল হলে ঝানঝটের সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনের অসমাপ্ত কাজ করার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় জনগণ।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যখন রাস্তার কাজ করা হয়েছিল তখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনডিই তারা রাস্তায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তার উভয় পাশে পানি যাওয়ার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু ড্রেনটি সম্পূর্ণ বিজয়পুর গোংগাইজুরি খালের সাথে সংযোগ স্থাপন না করে চাঁনপুর এর মাথায় এনে কাজ সমাপ্ত করে। পরবর্তীতে যার জায়গা পর্যন্ত ড্রেনের কাজটুকু সমাপ্ত করেন তিনি ওই জায়গাতে বর্তমানে মার্কেট করার জন্য ড্রেনের সম্মুখে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেন। যার ফলশ্রুতিতে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড়সহ লাকসাম রোডের দক্ষিণ দিকের পানি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, একদিকে ইপিজেড এর বর্জ্যর পানির তীব্র গন্ধ তার ওপরে রাস্তার উপরে জমে থাকা ময়লার পানি তাতে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) ও জেলা প্রশাসকের কাছে সকলের দাবি এই রাস্তাটির পাশে জমে থাকা পানি এবং ড্রেনেজ যেন গুংগাইজুরি খালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, যে প্রকৌশলী ড্রেনের কাজটি করছে তারা পানি কোথায় কিভাবে যাবে তা ব্যবস্থা না করে কাজ শেষ করে চলে যায়। এতে সাধারণ জনগণের কষ্ট হচ্ছে। এ কাজের দায়িত্ব অবহেলার কারনে তাদের বিরুদ্ধে সওজ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশাবাদী। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, আমরা সরজমিনে দেখে তারপর যেটা ভালো হয় সেটাই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এসকে