সার্বজনীন প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যহত রেখেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ সময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন ‘প্রত্যয় স্কিম চালু হলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানে ব্যাপক পতন ঘটবে। কার্যত এর শিকার হবে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা, যারা বিদেশে বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে না। আমাদের আন্দোলন হলো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। সরকারের উচিত হবে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে ক্লাসে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া।’

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রবিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ৫ম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই থেকে ক্লাস পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত।

“প্রত্যয়” সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের নতুন কর্মসূচি। ১ জুলাইয়ের পর থেকে যোগদান করা স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়েছে যেন।

এসকে