চাঁদপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওসমান গনি মুন্সি (৩০) নামের এক প্রবাসীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দেবপুর চরবাকিলা গ্রামের সুকুমার চন্দ্রের চাষকৃত ভুট্টা ক্ষেত থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই যুবক নিখোঁজ হয়।
নিহত ওসমান গনি পাশ্ববর্তী কামরাঙ্গা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী মুন্সির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পাঁচ নম্বর তিনি।
কৃষক সুকুমার চন্দ্র জানান, ভুট্টা ক্ষেতের পাশেই ঢেড়শ গাছ লাগিয়েছি। শেষ বিকেলে ঢেড়শ আনতে গিয়ে দুর্গন্ধ পেয়ে আমার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে প্রবেশ করে অর্ধগলিত মৃতদেহটি দেখতে পাই।
নিহতের বড় ভাই শাহজালাল মুন্সি জানান, ওসমান গনি মালেশিয়া প্রবাসী। গত বছর করোনার আগে ছুটিতে দেশে আসলে বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। এরপর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমারডুগী পাটওয়ারী বাড়িতে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহতের স্ত্রী সালমা জানায়,আমার স্বামী গত ১২ এপ্রিল প্রতিদিনের ন্যায় কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, আর ফিরে আসেনি।
একিদে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ, সিআইডি ইন্সপেক্টর আবু জাহিদ সরকার, পিবিআই ইন্সপেক্টর কবির হোসেন, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন লিটু।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী বলেন, গোটা রামপুর ইউনিয়নে এমন মৃত্যুর ঘটনা অতীতে হয়নি। প্রবাসী যুবক ওসমান মুন্সির মৃত্যু রহস্যজনক। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত কারণ বের করার দাবি জানান তিনি।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন কি না পিবিআই ও সিআইডি যে আলামত সংগ্রহ করেছে তা বিশ্লেষণ করে বুঝা যাবে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, প্রবাসী এই যুবকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে থানা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি, পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। তিনি আশা করছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।