Top

মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, রূপগঞ্জে জনদুর্ভোগ চরমে

০৯ জুন, ২০২১ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, রূপগঞ্জে জনদুর্ভোগ চরমে
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক নামে পরিচিত ঢাকা বাইপাস সড়কের গোলাকান্দাইল গোল চত্বর ঘেঁষে সড়কের ঢালে ও মহাসড়কের উপরেই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এসব আবর্জনা পঁচে চারদিকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী ও হাজারো পথচারী। এলাকায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সাওঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে বিসমিল্লাহ আড়ৎ নামে পাইকারি কাঁচাবাজার। এই আড়তের অবশিষ্ট বর্জ্য প্রতিদিনই ভ্যান গাড়ি দিয়ে সড়কের ঢালে ও মহাসড়কের উপরেই ফেলা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে সড়কের উপরে বসে মাছ, ফল ও সবজির দোকান। আর এসব দোকানের অবশিষ্ট ময়লা আবর্জনাও প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে এ ভাগাড়ে। গত বছর ইউএনও মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ফুটপাত ও মহাসড়ক দখলমুক্ত করেন। এর কিছিুদিন পর আবার ধীরে ধীরে মহাসড়কের পাশে ফুটপাত ও সড়কের কিছু অংশ দখলে চলে যায় এবং কিছু স্থানে ময়লা ফেলে আবর্জনার স্তুপ তৈরি হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া জানান, ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটে আমার দোকান আছে। প্রতিদিন সকালে আমাকে দোকানে আসতে হয়। সকাল বেলা বিআরটিসি থেকে নামলেই দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। নাক ও মুখে কাপড় চেপে কোনোমতে রাস্তা পাড় হই। আরেক ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ জানান, ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় এখন জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ময়লার দুর্গেন্ধ চারদিকে ছড়াচ্ছে। দ্রুত ময়লার ভাগাড় এখান থেকে অপসারণ না করলে ব্যবসা

বাণিজ্য ও বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ধরনের অভিযোগ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের। ময়লা ফেলতে আশা ভ্যানচালক জানান, বিসমিল্লাহ ফিলিং স্টেশনের পেছনের পাইকারি কাঁচাবাজার আড়তদার বাদশা মিয়ার নির্দেশেই এখানে আমরা ময়লা ফেলছি।

এ ব্যাপারে বাদশা মিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তবে, আড়ৎ কমিটির লিটন নামে এক ব্যক্তি জানায়, স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশেই এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। আমরা তার পরামর্শক্রমে সবকিছু করি।

সরকারি জায়গায় ময়লা ফেলছেন কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই প্রশ্নের জবাবে লিটন মিয়া জানান, খোলা পড়ে আছে তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলছি। আমাদের আশপাশে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। তাই এখানে খালি জায়গা পেয়ে কর্মচারীরা ময়লা ফেলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরজাহান আরা খাতুন বাণিজ্য প্রতিদিনকে জানান, তীব্র দূষণের শিকার হলে যেকোনো মানুষের মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরত জাহান জানান, মার্কেট পরিচালনা কমিটিকে বলে দেয়া আছে খোলা জায়গায় যাতে তাদের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না ফেলে। সরকারি জায়গাতে তাদের ময়লা ফেলার কোনো এখতিয়ার নেই।

ফুটপাত দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের চলমান কাজগুলোও ব্যাহত হচ্ছে। কোভিডের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অভিযান চালানো হবে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার