বুধবার (২৩ জুন) তিন দিনব্যাপী নবম মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। এছাড়া চার বছরের বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে আসছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা। এটি শুধু লাখ লাখ জীবনই নেয়নি, অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে এবং সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সবার জনস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এ মহামারিবিরোধী লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে। এছাড়া আমাদের সরকার টিকার জন্য রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত আছে। বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এমনকি আমাদের যদি টিকা উৎপাদন চেইনে নেয়া হয়, আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনা হবে। এছাড়া বিশ্ব সম্প্রদায়কে কোভিড-১৯ যুদ্ধে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত, অসহায় মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও অর্থসহায়তা বন্ধ করা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামরিক সংস্থারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন