আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে সরকার লকডাউন শিথিল করছে, তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যুহার খুব একটা কমেনি। অনিশ্চিত ভবিষ্যত। এরমধ্যেও জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকাও সচল রাখতে হবে। লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হলে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বাড়ে। সব মিলিয়ে মাঝে মাঝে লকডাউনের বিরতি দিতে হবে। এছাড়া টিকা নিয়ে মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। ভারত থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে আবার টিকা পাওয়া যাবে। গণটিকা অব্যাহত রাখার জন্য চেষ্টার কোনো কমতি নেই। লকডাউনের ফলে সব কিছু স্তব্ধ হলে কিছু কিছু মানুষ রাস্তায় পড়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউন দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলতা এড়াতে বিআরটিএর বিভিন্ন টিম সড়কে কাজ করবে। গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী কিনা এটা দেখা হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে কিনা সেটাও দেখা হবে। যে ভাড়া আগে কার্যকর, সে ভাড়ায় চলবে। বর্ধিত ভাড়ায় আর চলবে না।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ভালোভাবে মেরামত করতে হবে। গাজীপুরের এ ভোগান্তি কেন। কেউ কারো দোষারোপ না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। গাজীপুরের রাস্তাকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হবে যাতে জনগণের ভোগান্তি না বাড়ে। সরকারের এত অর্থ খরচ অথচে সড়কে এবং পরিবহনে আমরা শৃঙ্খলা আনতে পারলাম না। এ বিষয়গুলোতে নজরদারির মধ্যে আনতে হবে।

সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই সড়কে উন্নতি সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণটিকার কর্মকাণ্ডে জনগণের সাড়া দেখে বিএনপি হতাশ। বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। সরকার গণটিকা সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি সেটা সহ্য করতে পারছে না। জনগণের সঙ্গে কখনো প্রতারণা করেনি শেখ হাসিনা সরকার। সব কিছু নিয়েই মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বিএনপি।