Top

মাগুরায় চাদাবাজি করতে গিয়ে কথিত সাংবাদিক আটক

১৭ আগস্ট, ২০২১ ৩:১৬ অপরাহ্ণ
মাগুরায় চাদাবাজি করতে গিয়ে কথিত সাংবাদিক আটক
মাগুরা প্রতিনিধি :

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে সাংবাদিকতার নামে চাদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে আশরাফুল আলম সাগর নামের এক যুবক এখন মাগুরা কারাগারে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির হোসেন জানান, ১৫ অগাস্ট রবিবার রাতে ধৃত আশরাফুল আলম ও অপর আর একজন মহম্মদপুরের আশ্রায়ন প্রকল্প -২ এর উপকারভোগীদের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধোরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল মাগুরা সংবাদের সম্পাদক আশরাফুল আলম সাগর ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহকে আসামী করে ওবাদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি থানায় মামলা করেন। মামলার বাদী আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা। সাগরের বাড়ি উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌফুলকান্দি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। আরেক অভিযুক্ত উপজেলা সদরের বাওইজানি জেলখানা পাড়ার গদা শেখের ছেলে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩ টায় সাগরকে মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসিবুল হাসানের আদালতে হারিয়ে জিরক করিলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মধুমতি নদীর পূর্বপাড়ে জাঙ্গালিয়া গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় সম্প্রতি ১৩টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে সাগর ও আবদুল্লাহ আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতিদের বাড়িতে যান। তাঁরা দুইজন পরিবার প্রতি দশ হাজার টাকা চাদা দাবি করেন। একটি ফরমে স্বাক্ষর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আরও ভালো ঘর পাইয়ে দেবে বলে প্রলোভোন দেখায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা আশ্রয়নের বসতি লোকজনের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওবায়দুর নামের এক ব্যক্তিকে মারধোর করেন তারা। এসময় লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া করে সাগরকে আটকে রাখে ও আবদুল্লাহ পালিয়ে যান।

পরে তাঁরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পালকে মোবাইল ফোনে জানান। পুলিশ গিয়ে সাগরকে আটক করে। সাগর নিজেকে ফেসবুকভিত্তিক মাগুরা সংবাদ ডট কম নামের স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও একটি মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান বলে দাবি করেন। সাগরের বাবা আকরাম হোসেন গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির হোসেন জানান, রবিবার রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হাতে আটক সাগরকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। মামলার পর তাঁকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামী আবদুল্লাহ ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন। পুলিশ অভিযুক্ত সাগরের কাছ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ভুয়া ফরম ও আবেদনের কাগজপত্র জব্দ করেন এবং এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) রামানন্দ পাল জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রায়ন প্রকল্পের-২ এর সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে চাঁদা দাবি ও মারধোরের ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।

শেয়ার