গোপালগঞ্জ ঘোষেরচর দক্ষিনপাড়া গ্রামের আছিয়া বেগম (৫৫)। স্বামী আরজ আলী শেখ পেশায় কৃষি কাজ করে। সংসারে রয়েছে ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে। স্বামীর যে আয় রোজগার তা দিয়ে নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম থেকে হয় তাদের। তাই স্বল্প মূল্যে টিসিবির পন্য কিনতে বিক্রিস্থল ট্রাকের কাছে হাজির হন তিনি। টিসিবির পণ্য পেয়ে যেন চোখে মুখে একরাশ হাসি। বাজার থেকে কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারায় কিছুটা হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে বলে তিনি জানান। তার মত অনেকই এসেছে টিসিবির পণ্য নিতে।
জানাগেছে, সারা দেশের মত রবিবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে গোপালগঞ্জে ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের কাজির বাজার এলাকায় ও টুঙ্গিপাড়ার দু’টি স্পটে ১ হাজার ৭৯ জনের মধ্যে পারিবারিক কার্ডের ভিত্তিতে এসব মালামাল বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবি-র পণ্যের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সোয়াবিন তেল দেয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় কিস্তি দেয়া হবে ৩রা এপ্রিল। কেবলমাত্র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবি এসব পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলায় ৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার ৮৯ হাজার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে ন্যায্যমূল্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে। সকাল ১০ টায় টিসিবি পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইলিয়াছুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
টিসিবি-র পন্য কিনতে আসা ঘোষেরচর গ্রামের আহাদ আলি শেখ ও কালাম সরদার জানান, বাজার থেকে কম মূল্যে টিসিবির মালামাল কিনতে পারছি এতে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। বাজার থেকে প্রায় অর্ধেক দামে কিনতে পেরে আমরা খুশি এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সাথে সাথে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও দাবী জানান তারা। কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে আগামীতেও ন্যায্যমূল্যে টিসিবির মালামাল দেয়া অব্যাহত থাকবে এমনটিই প্রত্যাশা করি আমরা।
রমজানের সময় বাড়তি মূল্য যাতে সাধারণ মানুষকে কষ্টে না ফেলে সেজন্য সরকার ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য দিচ্ছে বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, জেলার ৮৯ হাজার ১০৫ জন নিম্নআয়ের লোকদের মাধ্যে পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে ন্যয্যমূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রি সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জে ও উদ্বোধন করা হলো। ন্যায্য মূল্যের পন্য কিনতে পেরে নিম্ন আয়ের লোকেরা কিছুটা হলেও লাভবান বা উপকৃত হবে।