Top

গাইবান্ধার মুখী কচু যাচ্ছে সারাদেশে

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
গাইবান্ধার মুখী কচু যাচ্ছে সারাদেশে
সিদ্দিক আলম দয়াল :

মুখী কচুর চাষ করে ব্যপক সাফল্য পেয়েছেন গাইবান্ধার চার উপজেলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ জাতের কচু চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা । আর কচু প্রক্রিয়াজাত কাজে নিয়োজিত হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে শ শ নারীর।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এ জেলায় এবার ৫ শ ৩৫ হেক্টর জমিতে মুখী কচুর চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গাইবান্ধার সাঘাটা ,গোবিন্দঞ্জ ,পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া মুখীকচু চাষের উপযোগী । ধানসহ অন্য ফসলের চেয়ে মুখী কচুর চাষাবাদে খরচ কম । তাই ৪ উপজেলার মহিমাগঞ্জ,পবনাপুর,জামালপুর ,কিশোরগাড়ি,গাইবান্ধার বোয়ালী সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার কৃষক এবার মুখী কচু চাষ করেছেন ।

ফলনও হয়েছে আগের চেয়ে অনেক ভালো । গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার আমলাগাছি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ আর সবুজ কচু পাতা । কেউ কেউ দুহাত দিয়ে কচুর গোড়া ছিড়ে মাটির নিচ থেকে হাতড়িয়ে কচু উত্তোলন করছেন । আবার সেই কচু বাজারজাত করতে মাটি পরিস্কার করতে হয়। তারপর পানিতে ধুয়ে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি অথবা বাজারে বিক্রি করতে হয়। তবে এই গ্রামের কচু চাষী জহুরুল ইসলাম জানান,তার ৪ বিঘা জমিতে এবার কচু চাষ করেছেন । খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা । কিন্তু বিঘা প্রতি কচু উৎপাদন হবে অন্তত ১ শ মন । তা বিক্রি হবে অন্তত ৪০ হাজার টাকা । অল্প সময়ে ভালো লাভের কারনে তিনি আগামীতেও অন্যান্য ফসলের পাশা পাশি কচুর চাষ করতে ভুলবেন না ।

পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বলেন ,তার এলাকায় কয়েকটি ইউনিয়নে কচুর চাষ হয়ে থাকে । মৌসুম এলেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কচুর পাইকার বা ক্রেতা আসেন ট্রাক নিয়ে। আমলাগাছি গ্রামে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করে জমি থেকে কচু কিনে নিয়ে যান ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে । পলাশবাড়ির আমলাগাছি গ্রামে মুখী কচুর প্রতি কেজি ১২ টাকা থেকে ১৪ টাকা । অথচ এই কচু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় অন্তত ২০ টাকা কেজিতে ।

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কচু চাষী আকবর হোসেন বলেন , এসব কচু তোলা, ধোয়া থেকে প্রকিয়াকরন কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে শ শ নারীর। তারা বাড়ির কাজ শেষ করে বারতি সময়ে দিনে ১ থেকে ২ মন কচু পরিস্কার করে ৮০ থেকে ১ শ টাকা আয় করছেন।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদ্প্তরের উপ-পরিচালক মো: মাসুদার রহমান বলেন, চার উপজেলার উৎপাদিত কচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে, যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ ধরনের কচু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় জেলায় কচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অল্প খরচে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জেলার সবজি চাহিদা পুরন করছে ।

শেয়ার