Top

হাজীগঞ্জে টিকটকারদের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত

২৭ অক্টোবর, ২০২১ ৪:৫২ অপরাহ্ণ
হাজীগঞ্জে টিকটকারদের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :

হাজীগঞ্জে মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় টিকটকারদের অতর্কিত হামলা স্বামী-স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য ১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ডাক্তারের পরামর্শে বাড়ি চলে গেছেন। ঠিকাদার দম্পত্তির উপর হামলার পূর্বে হামলাকারীরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন, মানিক (৪০) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৩৫)।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮ টায় পৌরসভাস্থ ৮নং ওয়ার্ডের টোরাগড় গ্রামের সুলতান সর্দার বাড়িতে ঘটেছে।

জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত আ. মান্নানের ছেলে মানিকের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে আশা-যাওয়ার মধ্য উত্যাক্ত করে আসছে একই এলাকার তালুকদার বাড়ির এমরান হোসেনের ছেলে টিকটকার রাজভী (১৮)। ঘটনার দিন বিকেলে রাজভী তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে টিকটক তৈরি করতে আলীগঞ্জের মঞ্জু মিয়ার বালুরঘাটে। সেখানে গিয়ে তারা বালুর ট্রলারে উঠে টিকটক তৈরি কর। ওই সময় কয়েক বন্ধুর সাথে তার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তাদের উভয়কে শান্ত করার জন্য বলে সাগর। সাগর কেন তাদের শান্ত হতে বললেন এ জন্য তাকেও তারা মারধর করেন। খবর পেয়ে সাগরের মা জোৎস্না বেগম বাড়ির সম্পর্কীয় দেবর মানিক মিয়াকে অনুরোধ করে ঘটনাস্থলে পাঠান। উনি গিয়ে মারামারি থামিয়ে দেন।

এতে রাজভী মানিক মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তার জেঠাতো ভাই সামির, তাদের একই বাড়ির জিয়াদ, শামীম, রাজভীর পিতা এমরান হোসেন তালুকদার ও সামির পিতা সেলিম তালুকদার ও তার মেয়ে জামাই নিশানসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দলবল নিয়ে মানিক মিয়ার বসতঘরে হামলা চালায়। ওই সময় তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর চালিয়ে স্টিলের আলমিরা থেকে তার ছোট ভাইয়ের ব্যবসার নগদ ১১ লাখ টাকা এবং ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে মানিক মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, রাজভী আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে প্রতিদিন স্কুলে আশা যাওয়ার পথে উত্যাক্ত করে আসছে। এ বিষয়টি তার পরিবারের লোকদের অবহিত করি। আমরা কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই টিকটকার রাজভীর নেতৃত্বে ২০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দলবল নিয়ে এসে আমাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং তাদের সাথে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী গুরুতর আহত হই। বর্তমানে আমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারীরা স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ১১ লাখ টাকা ও ৫ ভরি শ্বর্ন লুট করে নিয়ে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

শেয়ার