ঈদের তৃতীয় দিনেও বান্দরবান পর্যটকদের আগমন তেমন পড়েনি। তবে আজ সকাল থেকে বান্দরবান মাইক্রো ও জীপ ষ্টেশনের পর্যটকদের গাড়ি অপেক্ষা করতে ভিড় দৃশ্যটি দেখা গেছে। যে যার মতন নিজ পছন্দের পর্যটন স্থানে যেতে ভীড় করছেন পর্যটকরা।

অন্যদিকে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে চান্দের গাড়িও। চান্দের গাড়ি চালকরাও সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের নিয়ে ছেড়ে গেছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবারের পর্যটক আগমন কম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান মাইক্রো জীপ সমিতির সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল তুলনায় চেয়ে আজকের ষ্টেশনের পর্যটকরা কম দেখা দিলেও তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত জীপ ও মাইক্রো মালিক সমিতিরা। কেউ ভাড়া করে ১৩ কিংবা ১৭ জন নিয়েছে ছেড়ে গেছে দেবতাকুমে।কেউ আবার অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। তবে নিজেদের পর্যটন কেন্দ্রে পৌছাতে গাড়ি নিয়ে চলছে দৌড় যাপ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বান্দরবানের রয়েছে – মেঘলা, নিলাচল, প্রান্তিলেক, দেবতাকুম, বগালেক, শৈলপ্রপাত সহ নানান পর্যটন কেন্দ্র। সে পর্যটন কেন্দ্রে প্রাকৃতিক প্রেমিকরা যাচ্ছে মনের আনন্দ মেতাতে ।

চান্দের গাড়ি চালক সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, সকাল থেকে পর্যটকরা বিভিন্ন স্থানে যেতে ভীর করেছে। কেউ যাবে দেবতাকুমে, কেউ যাবে বগালেক আবার কেউ যাবে বান্দরবান শহর ভিতরে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তবে তাদেরকে সেবা আমি আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

বান্দরবান জীপ ও মাইক্রো টিকে কাউন্টার দেওয়া তথ্য মতে, গতকাল সারাদিন ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন পর্যটনের উদ্দেশ্য গাড়ি ছেড়েছে ৬০টি। তবে আজ সকাল থেকে দুর- দুরান্ত কয়েকটা গাড়ি ছেড়েছে। আশা করছে গতকাল চেয়ে আজকের শত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আশানুরুপ রয়েছে তাদের।

ঢাকা থেকে ১০ জনের টিম পর্যটক অঙ্কন ও সোহাগ জানিয়েছেন, গতকাল আশে পাশে ঘুরে শেষ করেছি। আজ দেবতাকুমের উদ্দেশ্যে আমরা বের হয়েছি। তবে গাড়ি সংকট নাই।

যশোর থেকে আসা দম্পতি সালমা ও ফেরদৌস জানিয়েছেন, গতকাল নীলাচল ও মেঘলায় ঘুরেছি মাহিন্দ্রা ভাড়া করে। আজকে অন্যটিমের যোগ দিয়ে নীলগিরি দিকে যাবো।

বান্দরবান জীপ ও মালিক সমিতি টিকেট কাউন্টার জামাল জানান, পর্যটকদের জন্য যথেষ্ট পরিমান চান্দের গাড়ি মজুত রয়েছে। তাদের সেবা দিতে জীপ ও মাইক্রো মালিক সমিতি সদস্যদের (চালকদের) পর্যটকদের সেবা দিতে বলা হয়েছে।