আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। ফলে বুধবার (৮ মে) পাম অয়েলের দরপতন ঘটেছে। এছাড়া পণ্যটির রপ্তানি কমার আশঙ্কাও মূল্য হ্রাসের অন্যতম কারণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বেঞ্চমার্ক পাম অয়েলের আগামী জুলাইয়ের সরবরাহ চুক্তি মূল্য কমেছে ৬১ রিঙ্গিত বা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম স্থির হয়েছে ৩৮৬৯ রিঙ্গিতে। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রায় যা ৮১৬ ডলার ২৪ সেন্ট।

একই দিনে চীনের দালিয়ান কম্মোডিটি এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিন তেলের দর নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। আর শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) ভোজ্যতেলটির দরপতন ঘটেছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। সঙ্গত কারণে পাম অয়েলের মূল্য নিম্নগামী হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রয়টার্সের করা এক জরিপে দেখা গেছে, বিদায়ী এপ্রিলে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানি ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ২২ মিলিয়ন মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। মে-জুনেও সেটা কমতে পারে। কারণ বিশ্ববাজারে চাহিদা দুর্বল হয়েছে।

সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক ব্রোকারেজ কমগ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক প্রণব বাজোরিয়া বলেন, অন্যান্য ভোজ্যতেলের উৎপাদন বেড়েছে। এখন সয়াবিন, সূর্যমুখী, ক্যানোলার মৌসুম চলছে। ফলে চাপে পড়েছে পাম অয়েলের বাজার। পণ্যটির বৈশ্বিক মূল্যও হ্রাস পেয়েছে।