বড় ধরনের মুনাফা করলেও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশের পুরো ভাগ দেবেনা। কারণ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ মুনাফার অর্ধেক লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ২৫ শতাংশ এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থাৎ রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণা করায় আজ কোম্পানি দুটির শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ যতখুশি শেয়ারের দাম বাড়বে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইসের নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স
শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২ টাকা ৪ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফার ৫৪ শতাংশ কোম্পানিটি লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। মুনাফার বাকি ৪৬ শতাংশের ভাগ বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে না।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৮ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ এপ্রিল।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফার ৪৮ শতাংশ কোম্পানিটি লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। মুনাফার বাকি ৫২ শতাংশের ভাগ বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে না।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ এপ্রিল।