গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আরিফ বেপারীকে (২৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি, গাসিকের সাবেক মেয়রসহ আওয়ামীলীগের ১৭১ নেতা-কর্মীর নামে গাজীপুর মহানগরের দুই থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার হাজী সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া নিহতের বাবা রজ্জব আলী গাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি এবং ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার ছেলে আরিফ বেপারীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলায় হত্যা কান্ডের হুকুম দাতা শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অপরদিকে, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল রানা।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা (৫০)।

তিনি বলেন, মামলার বাদী সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি একটি কোম্পানির সেলসম্যান হিসাবে বিভিন্ন দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন। গত ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর থানার চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে সড়কের উপর অবস্থান করছিলেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ড অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন দাবিতে  স্লোগান দিতে থাকলে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের নির্দেশে তিনি ও নামীয় আসামীরাসহ তাদেও সহযোগী অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর গুলি করতে থাকে। এসময় একটি গুলি তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে লেগে বের হয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এম পি