প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৯৮ সালের এদিনে তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদের সম্পাদক ছিলেন। তৎকালীন ‘কৃষক’ ও ‘নবযুগ’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, নোংরা রাজনীতি, লুটপাট, দূর্নীতি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তার লেখায় বুদ্ধিদীপ্ত ব্যঙ্গাত্মক ভাষার মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদ আজও পাঠকের মনে গেঁথে আছে।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম তার প্রবন্ধে আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাসের নাম মৃত্যুক্ষুধা, নজরুলের বন্ধু আবুল মনসুরের উপন্যাসের নাম—জীবন ক্ষুধা। কাজী নজরুল ইসলাম তার বন্ধু আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে বলেছেন, ভাষার কান মলে রস সৃষ্টির ক্ষমতা আবুল মনসুরের অসাধারণ। এ যেন পাকা ওস্তাদী হাত।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদ ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৩ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী মুসলিম লীগের সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর তিনি ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে তাকে কারারুদ্ধ করে। ১৯৭৯ সালে এই রাজনীতিবিদ মারা যান।

তার জন্মদিন উপলক্ষে আজ এক অনলাইন অনুষ্ঠানে ‘আবুল মনসুর আহমদের চিন্তার নিজস্বতা’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক থাকবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল হাসান, সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন এবং প্রাবন্ধিক ও গবেষক কুদরত-ই-হুদা।