Top

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কারখানা গুলোতে

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কারখানা গুলোতে

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর র্কমচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরীর কারখানা গুলোতে। ফলে র্দীঘ সময়ে অভাব অনটনে থাকা শ্রমিকদের মুখে
ফুটেছে স্বস্তির হাসি। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনা হলে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই কারখানা চালু রাখা সম্ভব।

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ জারি থাকায় র্দীঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয় জেলার বিসিক শিল্পনগরীর কলকারখানা গুলো । এতে
বেকার হয়ে পড়ে হাজারো শ্রমিক। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ধীরে ধীরে ব্যবসায়ীরা এসব প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেয়। ফলে কর্মস্থলে আবারো যোগ দিয়েছে
শ্রমিকেরা।

ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে উঠা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক গ্রুপের গোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাষ্ট্রি নামের জুটমিল। এছাড়া আটা ,ময়দা, সুজি, সাবান ও
প্লাস্টিকের কয়েকটি কারখানা চালু হয়েছে।

করোনার বিধিনিষেধে শিথিলতার পর বর্তমানে এই জুটমিলের তিন ভাগে প্রায় ৬শ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এখান খেকে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে পাটের তৈরী
৫ হাজার পিচ সুতার রোল ও ৫ হাজার পিচ বস্তা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব উৎপাদিত সুতা ও বস্তা পাঠানো হচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়। কারখানা চালু
হওয়ার পর কাজ ফিরে পেয়ে এখন অনেকটাই খুশি শ্রমিকেরা। তবে করোনা টিকা প্রদান অব্যাহত থাকলে কলকারখানা খোলা রাখা সম্ভব বলে জানান কারখানার
মালিকরা।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর ১৫ একর জমিতে গড়ে উঠে ছোট-বড় ৫১টি প্রতষ্ঠিান। এর বিপরীতে বর্তমানে জুটমিলেই ছয়শ আর
বাকি প্রতিষ্ঠান গুলো সহ মোট ১৫৩৫ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, এতদিন কারখানা বন্ধ থাকায় আমাদের খুব খারাপ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। এখন কারখানা খুলেছে। নিয়মিত বেতন পাচ্ছি। সংসারও
চলছে ভালোভাবে ।

ঠাকুরগাঁও গোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাষ্ট্রি এর জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রতিষ্ঠান খুলে নতুন করে উৎপাদন শুরু হয়েছে
তবে করোনায় অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদেরকে। লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ ছিল।

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কর্মাস ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি ও রাজ্জাক গ্রুপের স্বত্তাধকিারী হাবিবুল ইসলাম বাবলু বলেন, করোনা চলাকালিন আমরা কোন শ্রমিক ছাঁটাই
করিনি।এছাড়াও অনেক শ্রমিককে আমরা সহযোগিতা করেছি। এখন আমাদের কারখানা চালু হয়েছে। তাই এসব কল কারখানার যে ব্যাংক লোন এর ইন্ট‍ারেস্ট রয়েছে সেগুলো মওকুফ করলে আমাদের ক্ষতি কম হবে।

ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক নুরল হক বলেন, সরকারের পক্ষ হতে কলকারখানা গুলোকে ক্ষতি পুরণ দেওয়া হচ্ছে। বিসিক এর সকল কারখানা
নিয়মমত, মাস্ক ও জীবানু নাশক স্প্রে করে খোলা হয়েছে।

শেয়ার