Top

পুলিশের সহধর্মিনী হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
পুলিশের সহধর্মিনী হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জে পুলিশের সহধর্মিনী বিলকিস আক্তার হত্যা মামলায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে কিছু চুরি হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ীর মোঃ কবির হোসেন (৩০), মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সরদার রিয়াজ (২৬), বগুড়ার শাকিল হাসান (১৯) ও রংপুরের আখিঁ মনি লিপি আক্তার।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট, একটি রোপার নুপুর, একটি স্বর্ণের পায়েল, ৩টি স্বর্ণের কানের রিং, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের লকেট ও ২টি স্বর্ণের কানের দুল এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন।

পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে জানান, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রির্জাভ ট্যাংক এলাকার বাসাভাড়ায় আসামী মোঃ কবির হোসেন, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সরদার, শাকিল হাসান ও আখিঁ মনি লিপি বেড়াতে আসেন। পরবর্তীতে সাথে নিয়ে আসা ঘুমের ঔষধ মেশানো কোমল পানীয় এবং জুস বিলকিস ও তার ছেলে-মেয়েকে খাওয়ায়। পানীয় ও জুস খাওয়ার পর তারা অচেতন হয়ে পড়লে পাশের রুমে ছেলে ও মেয়েকে রেখে আসে এবং আসামী রিয়াজ উদ্দিন বিলকিসকে ধর্ষণ করে। এরপর আসামী বিলকিসের হাত, পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ নিয়ে ওই রাতেই পালিয়ে যান। পরের দিন শনিবার সকালে পুলিশের সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

এ ঘটনার দিন নিহতের বাবা মজেম আলী বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়াসহ কাজ শুরু করে এবং সর্বপ্রথম আখিঁ আক্তার লিপিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাকি আসামীদের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জামিনুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীদের নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেই সাথে আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। তবে আসামীরা প্রাথমিক ভাবে হত্যা ও চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

শেয়ার