Top

লেয়ার মুরগি পালনে মামুনের সফলতার গল্প

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:১১ অপরাহ্ণ
লেয়ার মুরগি পালনে মামুনের সফলতার গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক :

অনুমতি নিয়ে খামারে ঢুকতইে হাজারো মুরগির কক কক শব্দে বুকের ভিতর কেমন যেন স্পন্দনের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। বন্ধুর পরার্মশ আর নিজ উদ্যোগে সৌখিনভাবে গড়ে তুলছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। তার এ খামারটি থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার ডিম।

এমনই দৃশ্য দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে মহারাজা যাওয়ার পথে পাকা রাস্তা ঘেঁষে দুর্লভপুর গ্রামের কৃষক মামুনের খামারে। এমন একটি খামার করে এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছেনে তিনি।

মামুনুর রশিদ পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় বন্ধুর পরামর্শে বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। মুরগির খামার করে এলাকার অনেকে হোঁচট খেলেও তিনি লাভবান হয়েছেন।

কৃষি কাজের পাশাপাশি ২০০৭ সাল থেকে বাড়ির পাশে ব্রয়লার মুরগি লালন পালন শুরু করেন ৩ শ মুরগি নিয়ে। ২০১৭ সালে গাইবান্ধা জেলার এক বন্ধুর পরামর্শ নিয়ে ব্রয়লার ছেড়ে লেয়ার মুরগির সৌখিন খামারের যাত্রা শুরু করেন। বাঁশ কাঠির তৈরী খাঁচায় রাখা মুরগিগুলোকে পরিষ্কার পাত্রে নিয়মত খাবার পরিবেশনে এখন কাজ করছেন অনেকে।

বর্তমানে এই খামারে প্রতিদিন দশ জনের অধিক কাজ করছেন। মুরগি লালন পালনে তার খামারে এখন মুরগির সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৬ শত। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুরগির একদিনের বাচ্চা কিনে এনে খামারে ১৪ থেকে ১৮ মাস র্পযন্ত রাখা হয়। পরে বাজারে মাংসের জন্য বিক্রি করা হয়।

আবার এখান থেকেই এখন নিয়মিত ডিম উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার। এসব ডিম ক্রয়ে জেলা ও উপজেলা থেকে খামারে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তার সফলতায় উদ্যোগী হচ্ছেন আশেপাশের অনেকে।

মামুন জানান, ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম ব্রয়লার মুরগি পালন শুরু করেন। এভাবেই চলতে থাকে দীর্ঘদিনের সফল খামারি হওয়ার প্রচেষ্টা। তবে ২০১৭ সালে গাইবান্ধায় গিয়ে বন্ধুর খামারে লেয়ার মুরগি পালন দেখে লেয়ার মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ হন। পরে তিনি বাসায় এসে প্রথম ৩’শত লেয়ার মুরগি দিয়ে পথযাত্রা শুরু করেন। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাভজনক হওয়ায় ধীরে ধীরে খামার বড় হতে থাকে।

খামারে সার্বক্ষনিক পরিচর্যায় থাকা রনি জানান, লেয়ার মুরগি পালন অনেক লাভজনক। এই মুরগি পালন করে মামুন চাচা স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আমরা খামারটিতে প্রতিনিয়ত কাজ করছি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরাও যেন এমন খামার করতে পারি। এমন প্রত্যাশা করেছেন খামারে র্কমরত সকল কর্মীরা।

খামারি মামুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, নিনজ উদ্যোগে এগিয়ে গেলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মেলেনি পরার্মশ। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

তিনি আরও বলেন, মাসে সকল ধরনের খরচ বাদ দিয়ে ১ লক্ষ টাকার উপরে লাভ থাকে। তবে ডিমের বাজারের উপর নির্ভর করে। যদি ডিমের বাজার ভালো থাকে তবে আরো বেশি লাভ হয়।

জেলা প্র‍াণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনাকালীন খামারি মামুনুর রশিদকে সহযোগতিা করা হয়েছে। উপজেলায় ১শত ১৩টি ব্রয়লার ৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। আমরা সবগুলোর নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।

শেয়ার