স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আশা করছি চলতি মাসের শেষে বা সামনের মাসের প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব হবে না।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনার সংক্রামণ আগের তুলনায় কমে গেছে। সংক্রামণের হার এখন সাড়ে ৫ শতাংশ, সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হারও কমে গেছে। আমাদের দেশে কোনো ওয়েভ নাই। যেভাবে আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন চার হাজার লোক মারা যায়, পুরো বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। সেখানে আমাদের দেশে এখন মৃত্যু হার খুবই অল্প।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি বলেন, দেশে গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে। তবে আমরা চাই না করোনায় আমাদের দেশে একটি লোকও মারা যাক। আমরা সকলে মাস্ক পড়ি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি এবং আমরা প্রত্যেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছি। যার ফলে বাংলাদেশ ভালো আছে, অর্থনীতিতেও ভালো আছে। পৃথিবীর সমস্ত দেশ যেখানে মাইনাসে চলে গেছে সেখানে আমাদের অর্থনীতি প্লাসে আছে।

করোনার সময় কেউ না খেয়ে থাকে নাই, কেউ গৃহহীন হয় নাই। সকলেই ভালো আছে, আমরা এই অবস্থায় রাখতে চাই।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। চীন , রাশিয়া ও আমেরিকা আমাদের ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। ভ্যাকসিনের জন্য আমরা সব দরজা খুলে রেখেছি। ফাইজার কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে কিছু ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন আমরা গ্রহণ করবো এবং ফ্রন্ট লাইনারদেরকে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুস সালাম, সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটোসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার দেড় হাজার দুস্থ ব্যক্তির মাঝে এসময় কম্বল বিতরণ করা হয়।