Top

নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারে বাঁধা দেওয়াটাই কাল হলো সড়কটির!

০৬ মার্চ, ২০২১ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারে বাঁধা দেওয়াটাই কাল হলো সড়কটির!
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের মালামাল। আর নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার না করতে বাঁধা দেন স্থানীয়রা। এতে কাল হলো সড়কটির। বাঁধা দেওয়ার পর থেকেই কাজ বন্ধ রেখে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সড়কটির কাজ বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।

আসছে বর্ষার পূর্বে সড়কটির কাজ শেষ না হলে মহা-বিপদে পড়বেন স্থানীয় জনগন। বলছি উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের কংগাইশ রেল লাইন ভায়া হাড়িয়াইন সড়কটির। দীর্ঘ ৪ মাস এই সড়কের কাজ বন্ধ রেখে সড়ে যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আব্দুল কাদের।

জানা যায়, ২০১৯-২০২০ সালের অর্থ বছরের বাজেটে কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে সড়কটি নির্মানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় (এলজিইডি) একনেকে পাশ করে। পরে এলজিইডি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন।

কংগাইশ-হাড়িয়াইন ১ কিলোমিটার সড়কের কাজ করতে ঠিকাদার নিযোক্ত হন উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের আব্দুল কাদের। এ কাজটি শুরুর কথা ছিলো গেলো বছরের ১ জানুয়ারী। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেন ২০২০ সালের শেষে। তিনি দেরি করে সড়কের কাজ শুরু করলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক পর্যায়ে নিম্নমানের ইট (খোয়া) সড়কটির কাজে ব্যবহার করতে চাইলে বাঁধা দেন স্থানীয় লোকজন।

নিম্নমানের কাজে বাঁধা দেওয়ার পরের দিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজে আর হাত দেননি। তারা দীর্ঘ ৪ মাস কাজটি পেলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীরা। বর্ষার শুরু হওয়ার পূর্বে সড়কটির কাজ শেষ না হলে মহা-বিপদে পড়বেন বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক প্রকাশ হেলুসহ আরো অনেকে।

তিনি বলেন, প্রায় ৪ মাস কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার হচ্ছে এ জন্য এলাকাবাসী কাজে বাঁধা দিয়েছেন। ঠিকাদার নিম্নমান খোয়া না সরিয়ে তিনি কাজ বন্ধ রেখেছেন। এতে এই সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীরা দূর্ভোগে পড়েছে। বর্ষার পূর্বে কাজ শেষ না কলে আরো বিপদে পড়বে চলাচলকৃত লোকজন। অতিদ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের বিষয়টি আমরা অবহিত করেছি।

এ প্রসঙ্গে কাজের ঠিকাদার আব্দুল কাদেরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে কাজ চালু করতে পারেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোয়াগুলো সরিয়ে পেলবো এবং ১০/১২ দিন পরে সড়কের কাজটি চালু করবো।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহেদ জানান, নিম্নমান মালামাল সরিয়ে পুনরায় কাজ চালু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন আগামী সোমবারের মধ্য নিম্নমান খোয়া সরিয়ে সড়কটির কাজ চালু করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। তার দেওয়া প্রতিজ্ঞামত কাজ শুরু না করলে ঠিকাদারকে দেওয়া কাজ বাতিল করা হবে।

শেয়ার