Top

পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় সন্তান খুন, মা ও প্রেমিক গ্রেফতার

০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:০৪ অপরাহ্ণ
পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় সন্তান খুন, মা ও প্রেমিক গ্রেফতার
গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরে মায়ের পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় ছেলে সোলেমান হোসেন ওরফে সম্রাটকে (১৭) ইঁদুরের বিষ খাওয়ায়ে হত্যা করেছে মা। এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিকসহ নিহতের মা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) এনএম নাসির উদ্দিন তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

নিহত সোলেমান হোসেন ওরফে সম্রাট রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরে একটি অনলাইন শপে চাকরি করতেন। গ্রেফতারকৃত স্বপ্না খাতুন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনি গ্রামের আব্দুল হামিদ প্রামাণিকের মেয়ে এবং প্রেমিক আমীর আলী গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার সাতপোয়া এলাকার জামির উদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাকির হোসেনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার কুদাব এলাকায় রিনার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন দুই সন্তানের জননী স্বপ্না খাতুন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে স্থানীয় আমীর আলীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্বপ্না। তাদের পরকিয়ার সম্পর্কের বিষয়টি স্বপ্নার বড় ছেলে সোলেমান হোসেন টের পেয়ে বিভিন্নভাবে তাদের বাধা দেয়। বেশ কয়েকবার বাধা দিলে সন্তানের উপর ক্ষুব্ধ হন মা স্বপ্না ও প্রেমিক আমীর আলী। একপর্যায়ে পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে প্রেমিকের পরামর্শে নিজ সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা নেন স্বপ্না। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) রাতে মায়ের (স্বপ্না) পরামর্শে ছেলে সোলেমান হোসেনকে ফোন করে পুবাইলের করমতলা রেললাইনের পাশে ডেকে নেয় প্রেমিক আমীর আলী। সেখানে কৌশলে গ্লাসের পানিতে ইঁদুরের ওষুধ মিশিয়ে সোলেমানকে খেতে দিলে পানি পান করলে ঘটনাস্থলেই সোলেমান মারা যায়। পরে তার লাশ রেললাইনের পাশে সুলতানের মাছের খামারের পুকুরে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আমীর আলী।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) প্রবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরদিন শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয়রা ওই পুকুরে সোলেমানের লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এঘটনায় নিহতের ফুফা টিপু সুলতান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ নিহতের মা স্বপ্না খাতুন ও প্রেমিক আমীর আলীকে গ্রেফতার করে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে তারা বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এনজে

শেয়ার