Top

পদ্মায় বিলীন ভবন, খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:২২ অপরাহ্ণ
পদ্মায় বিলীন ভবন, খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি :

পদ্মার ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকরা এখন খোলা আকাশের নিচে চালাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সরেজমিন সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ধ্বংসস্তুপের মত পড়ে আছে বিদ‍্যালয় ভবনের অর্ধেক অংশ। ওই স্থান থেকে দুইশত মিটার দূরে খোলা আকাশের নিচে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। প্রচন্ড গরমে আর শীতল আবহাওয়া উপেক্ষা করে গাছতলায় ওই বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছে শিক্ষকেরা।

চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী রোমানা আক্তার জানায়, স্কুল নদীতে ভেঙ্গেগেছে। তাই গাছতলায় ক্লাস করছি। মাঝে মাঝে রৌদ লাগছে গায়ে তখন খুবই গরম লাগে। আবার কখনো মেঘ থাকে আকাশে তখন আর ক্লাস হয় না।

পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী আয়শা খাতুন জানায়, গাছতলায় ক্লাস করতে ভালো লাগছে না। পড়ার সময় গাছে থাকা পাখির জন্য বিঘ্ন ঘটে। একটা নতুন ভবন হলে আমাদের ভালো হতো।

জানা যায়, বিদ‍্যালয়টি স্থাপিত ১৯৮৯ সালে। প্রথম দফায় নদী ভাঙ্গনের কারণে চরসিলিমপুর এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। এক দশক আগেও বিদ‍্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ছিলো ৪ শতাধিক। নদী ভাঙ্গনের কারনে ওই এলাকায় বসতি কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ‍্যা কমতে থাকে। আর বর্তমানে এসে বিদ‍্যালয়টিতে ১০৮জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ঈমান আলী ফকির জানান, কয়েকদিন আগে নদী ভাঙ্গনের কবলে বিদ‍্যালয়টি ভেঙ্গে গেছে। সে সময় কিছু আসবাস পত্র অন‍্যত্র সরিয়ে নিতে পেরেছি। স্থানীয় একজন বাসিন্দা জমি দিয়েছে সেইখানে ঘর বানানোর প্রস্ততি নিচ্ছি। পাশাপাশি গাছতলায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চালু রেখেছি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাওমি মোঃ সায়েম জানায়, বিদ্যালয়টি পাশেই একটি জমিতে বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ঘরের পুণঃনির্মাণের কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যেই টিন সেড ঘর নির্মান হয়ে যাবে। সেখানেই তখন ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতে পারবে।

শেয়ার