নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার পণ্য হচ্ছে পাতলা দই। গরম মৌসুমে এই দইয়ের চাহিদা অনেক গুন বেড়ে যায়। প্রচন্ড গরমে পাতলা দইয়ের সরবত পিপাসু মানুষদের দেহ ও মনকে শীতল করে।

এই দই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় রমজানে ইফতারের সময় সরবতে কিংবা সেহরীতে খাওয়ার জন্য এর চাহিদা বেড়ে যায়। যার কারণে রমজান মাস এলেই গোয়ালা ও ঘোষেরা এই দইয়ের দাম বাড়িয়ে দেয় আকাশ ছোঁয়া। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই ইফতারের অন্যান্য সামগ্রীর পাশাপাশি দইয়ের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে।

রাণীনগর বাজারের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, রাণীনগর ও তার আশেপাশের অঞ্চলে রমজানের আয়োজনের মধ্যে অন্যতম একটি পণ্য হলো পাতলা দই। এই পাতলা দইয়ের সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। রমজানের আগে প্রতিটি দইয়ের হাড়ি প্রকার ভেদে ৩০-৩৫টাকা বিক্রি হলেও রমজানে সেই দইয়ের প্রতিটি হাড়ির দাম বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০টাকা করে। এতে করে অনেক মানুষ দই কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। দইয়ের দাম বেশি হলেও বিকেলে ইফতারের আগ মুহুর্তে বাজারের দই ফুরিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দই কিনতে আসা শাহিনুর ইসলাম বলেন রমজানে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সকল কিছুর দাম কমে আর আমাদের দেশে পুরোটাই উল্টো। সামান্য একটি দইয়ের দাম বেড়েছে হাড়ি প্রতি ১৫-২৫টাকা করে। দেখার কেউ নেই। প্রশাসেন পক্ষ থেকে যদি রমজানের পূর্ব থেকেই বাজার মনিটরিং করা যেতো তাহলে সবকিছুই সাধারণ মানুষদের হাতের মুঠোয় থাকতো। অনেক সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষরা দই কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন।

দই বিক্রেতা চকবুলাকী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন দইয়ের প্রধান উপকরণ হচ্ছে দুধ ও চিনি। এই দুই উপকরণের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরাও দই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে রমজানে কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। আমরা যে কোন সময় আবারও বাজারে অভিযান চালানো শুরু করবো। তখন পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো।

এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই রমজানকে হাতিয়ার করে নিজেদের ইচ্ছে মত পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যা থেকে উত্তোরন করতে চাইলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।