পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির অনিয়ম তদন্ত করতে কমিটি করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ছিলেন পাঁচ জন। গতকাল হাইকোর্টের আদেশে কমিটিতে আরও দুজন যুক্ত হলেন। তারা হলেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেকোনো বিভাগ, কর্মকর্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলেও হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়।

অন্যদিকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতিরোধে সমন্বিতভাবে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে মতামত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। কোম্পানিগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে বাংলাদেশ

ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন করা কমিটিতে হাইকোর্টের আদেশে যুক্ত হন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান। এখন কমিটির সদস্য সংখ্যা সাত।

কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) অনিয়ম তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ৫ সদস্যের কমিটির তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয়, এ জন্য পরামর্শ দেবে কমিটি। তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে ।