ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় অর্ধশত মানুষ। এবং প্রায় ১১ হাজার মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে দেশটির উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের মাউন্ট রুয়াং-এ পর পর চার বার বিস্ফোরণ ঘটে। আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ খুলে গিয়ে লাভাস্রোত ছড়িয়ে পড়েছে সংলগ্ন এলাকায়।

দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, এখনো সাত ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ছাই ছড়িয়ে পড়ে গ্রামগুলো ঢেকে গেছে। ছাই ও ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য স্থানীয়রা ছোটাছুটি করছেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সরকারি কর্মকর্তারা আরও বলছেন, অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় কুরাহ কোবোকান গ্রামে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কাদা এবং ভেঙে পড়া গাছের কারণে রাস্তা আটকে গেছে। ফলে উদ্ধারকারীরা বেশ কয়েকটি গ্রামে পৌঁছতে পারেননি।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার মানুষকে সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বলা হয়েছে, তারা যেন মাউন্ট রুয়াং থেকে অন্তত ৬ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রাখেন। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার ‘সেন্টার ফর ভলক্যানোলজি’ এবং ‘জিওলজিক্যাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ অগ্নুৎপাত নিয়ে গোটা দেশে সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে দেশটিতে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মাউন্ট রুয়াং-এ প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তার পর বুধবার পর্যন্ত মোট চার বার বিস্ফোরণ হয়। প্রায় ১০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত লাভাস্রোত দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দাকে নিকটবর্তী শহর মানাডোতে সরিয়ে নিয়ে আসে। ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি দু’টি ভূমিকম্প হয়। তার ফলে ভূগর্ভস্থ দু’টি পাতের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হওয়াতেই এই অগ্ন্যুৎপাত বলে মনে করছেন তারা। ইন্দোনেশিয়া ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই ভূকম্পপ্রবণ। এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোট ১২০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

সূত্র: মিয়ামি হেরাল্ড

বিএইচ