Top

ফরিদপুরে বিএনপি নেত্রীর গাড়ি বহরে নৌকা সমর্থকদের হামলা

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৩:১২ অপরাহ্ণ
ফরিদপুরে বিএনপি নেত্রীর গাড়ি বহরে নৌকা সমর্থকদের হামলা
ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার গেরদা ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রচারণাকালে গেরদার বুকাইলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে গেরদার আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. আরিফ হোসেনের সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা শেষে সন্ধ্যার পর নায়াব ইউসুফ বুকাইলের মোড় এলাকায় গণসংযোগে নামেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নায়াব ইউসুফের প্রচারণাকালে পাশের স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পূর্ব নির্ধারিত একটি নির্বাচনী সভার প্রস্তুতি চলছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফরিদপুর হতে আওয়ামী লীগের জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে নৌকার কর্মী সমর্থকেরা সমাবেশস্থল ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন এবং জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে আকস্মিক নায়াব ইউসুফের গাড়িতে হামলা করে।

এ সময় নায়াব ইউসুফের সাথে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান রঞ্জন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহিলা দলের নেত্রী নাজনীন আরা, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক নেতা এমএম ইউসুফ, রুকসুর সাবেক ভিপি মো. সেলিম মিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীল, বিএনপি নেতা শের শাহ, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনার পর শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে নায়াব ইউসুফ জানান, হামলাকারীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে তার গাড়িতে আঘাত করতে থাকে। এতে সেখানে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাঁর গাড়ির সামনে মোটর সাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় সেখানে কর্তব্যরত কোতয়ালী থানার একজন এসআই ও সাদা পোষাকে কর্মরত ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা তাদের গাড়িটি নিরাপদে বের করে আনার ব্যবস্থা করেন। সেখান হতে ফিরে তিনি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানকে বিষয়টি তাকে অবহিত করেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অপরাধ যেই করুক কারো প্রতি পক্ষপাতমুলক আচরণ করা হবে না। নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার